জুড়ীর ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ আয়রন ব্রিজ

ছবি: সম্পাদিত

লাঠিটিলা জিরো পয়েন্ট, গোয়ালবাড়ি, জুড়ি,মৌলভীবাজার। সুজলা, সুফলা শান্তিপূর্ণ ছায়াঘেরা, পাখিঘেরা, আমাদের এই বসুন্ধরা। এই পর্যটন স্পট মানুষের মন বিকশিত হওয়ার বিশাল এক প্রাকৃতিক লীলাভূমি।

যেখানে আছে নানান প্রজাতির পাখি। যেমন: জলজ, বিশ্বব্যাপী মহা বিপন্ন মদনটাক পাখি, বাহুক,কুড়া,সরালি এবং জাতীয় পাখি দোয়েল সহ, ফুলজুড়ি,মৌটুসি, বেনেবৌ, সুনাবৌ, সিদুরে মৌটুসি, ঘুঘু ইত্যাদি নানান পাখি ও গাছগাছালি নিয়ে ঘেরা মায়াময় এই পটভূমি। তাছাড়া বাংলাদেশ ভারতের সংযুক্ত প্রাকৃতিক মনোরম নির্জন এক বুনো দৃশ্য। যা মৌলভীবাজার জেলার থল সীমান্তে ভারতের সাথে অন্যতম।

যেমন: দেশ ভাগের আগে আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার কোর্ট ছিল মৌলভীবাজারে তখনকার সময়ে এই ব্রিজ ছিল বহমান বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম। ইতিহাসের প্রেক্ষাপট ১৯৬৫ সালে পাক্ বাহিনী বাংলাদেশ শ্বাসন কালে ভারতের সাথে ১৯৯৫ মেইন পিলার থেকে ১৪০০ মেইন পিলার স্থল সীমান্ত নিয়ে সাময়িক সংঘর্ষ হয়। তখন এ ব্রিজ ভাংচুর করার জন্য অপচেষ্টা চালালেও ব্যার্থ হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের আগে ভারতের সাথে যোগাযোগ উন্মুক্ত ছিল আয়রন ব্রিজ। দেশ স্বাধীনের জন্য মুক্তিনাহিনী যখন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের, ধর্মনগরে মুক্তিফৌজদের ট্রেনিং করানো হয়েছে তখনকার মুল যোগাযোগ মাধ্যম ছিল এ ব্রিজ।

বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত বাংলাদের যৌথ প্রয়োজনে স্থলবন্দর বর্ডার ইমিগ্রেশন (ICP) স্হান ও সপ্তাহিক সীমান্ত হাট এর স্হান নির্ধারণ করা হয়েছে।

লেখক : পরিবেশ কর্মী

এশিয়াবিডি/সাইফ/জুড়ী

আরও সংবাদ