সাংবা‌দিক‌দের পা‌শে দাঁড়াবেন সাংবা‌দিক মুন‌জের

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে দুনিয়াব্যাপি সম্মুখযোদ্ধা পেশাজীবিদের মধ্যে সাংবাদিকরা অন্যতম। তবে নানা কারণে জীবন আর জীবিকার অনিশ্চয়তা আর সামাজিক মর্যাদার আড়ালে মুখ লুকিয়ে কাঁদে অনেক সাংবাদিকপ্রাণ।

তাঁরা সবার খবর রাখলেও তাঁদের খবর রাখেনা যেন কেউ। ক‌রোনা ভাইরাস জ‌নিত ক‌ার‌ণে নিজ জেলা মৌলভীবাজা‌রের ক‌রোনার সম্মুখ যে‌াদ্ধা, অসচ্ছল পেশাদার সাংবা‌দিক‌দের পা‌শে দাঁ‌ড়াচ্ছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সাংবা‌দিক মুন‌জের আহমদ চৌধুরী।

ইউ‌কে-বাংলা প্রেসক্লা‌বের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা ট্রিবিউ‌নের যুক্তরাজ‌্য প্রতি‌নি‌ধি মুন‌জের আহ‌মদ চৌধুরী নিজ জেলা মৌলভীবাজা‌রের সাত উপ‌জেল‌ার অসচ্ছল পেশ‌াদার সাংবা‌দিক‌দের পা‌শে দাঁড়াবার ঘোষনা দেন।

শুক্রবার (১৫ মে) সন্ধ‌্যায় নি‌জের ফেসবু‌কে এ সংক্রান্ত এক‌টি ষ্টাটাস দেন। ষ্টাটাস‌টি নি‌চে সংযুক্ত করা হল–

মৌলভীবাজার জেলার সহকর্মী সাংবা‌দিকবৃন্দ,সালাম ও শু‌ভেচ্ছা।

লন্ডন থে‌কে প‌বিত্র ওমরাহ হজ পালন কর‌ার নিয়‌্যতে দে‌শে এ‌সে‌ছিলাম। ওমরাহ থে‌কে ফি‌রে ক‌রোনা প‌রি‌স্থি‌তির কার‌নে আর লন্ড‌নে ফেরা হয় নি। প্রায় মাস চা‌রেক ধ‌রে দে‌শেই আ‌ছি। আ‌র্থিকভা‌বে খুব সঙ্গত কার‌নেই ভা‌লো অবস্থায় নেই। তারপরও প্রতি‌দিন মানু‌ষের পা‌শে আ‌ছি, সাধ্যের সবটুকু নি‌য়ে চেষ্টা ক‌রি।

মৌলভীবাজারে ‌মোটর মেকা‌নিক থে‌কে মসজি‌দের ইমাম মুয়া‌জ্জিন কম বে‌শি সব পেশার মান‌ুষ সরকারী ত্রান সহ‌যোগীতা,প্রধানমন্ত্রীর উপহার সব পা‌চ্ছেন, শুধু সাংবা‌দিকরা বা‌দে। সারা‌দে‌শে একই অবস্থা। একই বাস্তবতা। দিন‌শে‌ষে সাংবাদি‌কের পা‌শে আস‌লে কেউ দাড়ায় না, যতটুকু সম্ভব ব‌্যবহার ক‌রে।

প‌রি‌স্থিতির কার‌নে ভা‌লো নেই এ জেলার সাত উপ‌জেলায় কর্মরত আমার সহকর্মী সাংবা‌দিকরা। আমি দীর্ঘদিন মৌ‌লভীবাজার জেলায় একজন সংবাদকর্মী হি‌সে‌বে কাজ করে‌ছি। যা‌ঁদের সা‌থে কাজ ক‌রে গে‌ছি, তা‌দের প্রায় প্রত্যেক‌কে আমি ব‌্যা‌ক্তিগতভা‌বে চি‌নি, আপনারাও আমা‌কে চি‌নেন। কিন্তু, এই মুহ‌ু‌র্তে সবার আ‌র্থিক অবস্থাটা আমার জানা নেই।সাংবাদিকতা ছাড়া আ‌য়ের আর তেমন কোন উৎস নেই এমন মানু‌ষের সংখ‌্যাও আমার জেলায় অ‌নেক। এই দুঃসম‌য়ে মৌলভীবাজার জেলার আমার অ‌নেক সহকর্মী কা‌রো কা‌ছে হাত পে‌তে চাই‌তে পার‌বেন না। জা‌নি, মুখ ফু‌টে বল‌তেও পার‌ছেন না কাউ‌কে।

অন্তত গত তিন বছর ধ‌রে সাংবা‌দিকতায় সার্বক্ষ‌নিকভা‌বে স‌ক্রিয় এবং সাংবাদিকতা ছাড়া চলবার আর কোন উৎস নেই, আমার এমন সহকর্মী ,মৌলভীবাজার সদর সহ জেলার সাত উপ‌জেলার অন্তত ৭০ জন পেশাদার সাংবা‌দিক‌কে দু‌-তিন দি‌নের বাজার খর‌চের টাকাটা পৌঁ‌ছে দি‌তে চাই। শ‌নি, র‌বি ও সোমবার এই তিন দি‌নের ভেত‌রে ইনব‌ক্সে বা আমার নাম্বা‌রে জানাবার (এক‌টি বিকাশ নাম্বার সহ) অনু‌রোধ রইল। ইনশাল্লাহ, দু‌নিয়ার জ‌মিনে আ‌মি ও গ্রহীতা ছাড়া তৃতীয় কোন ব‌্যা‌ক্তি বিষয়‌টি জান‌বেন না।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান

আরও সংবাদ