সাইপ্রাসে ঈদের জামাত
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সাইপ্রাসে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী নিকোসিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ জনের জন্য অনুমতি দেয়া হলেও পরবর্তীতে সরকার এবং মুসলিম কমিউনিটি কথা বলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদ এবং মসজিদের বাইরে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ববর্তী বছরগুলোতে নিকোসিয়া মসজিদ সংলগ্ন খেলার মাঠে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবছর প্রত্যেকটি সিটিতেই মসজিদকেন্দ্রিক সীমিত আকারে ঈদের জামাতের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। মুসলিম কমিউনিটির সাথে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে প্রত্যেককেই হ্যান্ড গ্লাভস এবং মাস্ক জায়নামাজ সাথে নিয়ে এসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নামাজ আদায় করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন ।এরই প্রেক্ষাপটে অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াত মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও যেখানে বাংলাদেশি মুসলমানরা রয়েছেন সেসব এলাকাতেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলমান পরিস্থিতিতে ঈদের দুই-তিনদিন আগেই লকডাউন পুরোপুরি খোলার কারণে অনেকের মনেই সন্দেহ ছিল যে সরকারের পক্ষ থেকে এবার ঈদের জামাত মাঠে কিংবা মসজিদে অনুমতি দেয়া হয় কিনা। এই কারণেই অনেকে ক্ষুদ্র পরিসরে কয়েকটি বাসাবাসার পার্শ্ববর্তী স্থানে ঈদের জামাত করার জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বিক্ষিপ্তভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে কিছু ঈদের জামাত বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে। এরমধ্যে লিমাসোল শহরের শহরের পাশাপাশি কিছু এলাকায় যেখানে বাংলাদেশি মুসলমানরা রয়েছেন সেখানে ঈদের জামাত হয়েছে এমন একটি জামাত হচ্ছে গ্রিন ভ্যালি নামক কোম্পানি বাংলাদেশী ভইয়েরা উনারা ক্ষুদ্র পরিসরে জামাতে নামাজ আদায় করেছেন। এখানে ঈদের জামাতের ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ। এবং পাপোশ সিটি তে প্রিয়া এলাকাতে ২ টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ওখানে ইমামতি করেন মুসলিম ফোরামের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু তালহা। এছাড়াও নিকোসিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের সালাতের ইমামতি করেন শেখ আবুল কাশেম।
লিমনের বৃহত্তর ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় লিমাসোল গ্র্যান্ড মসজিদ পার্শ্ববর্তী পার্কে। এখানে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন শেখ মোহাম্মদ।
সর্বোপরি সাইপ্রাসের লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকল সিটিতেই। যদিও এই বিষয় নিয়ে গত দুই দিন আগেও মুসলমানদের মনে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্বিগ্নতা কাজ করছিল আদৌ জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিনা। সর্বোপরি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়াতে বাংলাদেশি ও আরবিক মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক খুশি এবং উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা কি গিয়েছে।
এশিয়াবিডি/কামরান/আকমল

