অবৈধ বালু উত্তোলনে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের খাসিয়ামারা নদীর বালু উত্তলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও বালু মহাল ইজারা না দেওয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর বাজারে খাসিয়ামারা নদীর দুই তীরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও আলীপুর সমাজকল্যাণ পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায়, আয়োজিত মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মামুনুর রশীদ, নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ মশিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন, আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান, ইউপি সদস্য আলী নূর, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির, সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জনজীবনের বৃহত্তর স্বার্থে প্রশাসনের নিকট খাসিয়ামারা নদীর বালু মহালের ইজারা বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, কয়েক বছর ধরে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে খাসিয়ামারা নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে। পরিবেশের দিক বিবেচনা না করেই প্রতি বছর সরকারি ভাবে বালু মহাল ইজারা দেওয়া হচ্ছে। নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলন করায় খাসিয়ামারা নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনে হুমকির সম্মুখীন তীরবর্তী ফসলি জমি, হাটবাজার, বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয়দের দাবি উপেক্ষা করে প্রতিবছর খাসিয়ামারা বালু মহাল ইজারা দেওয়ায় প্রতিবাদ জানান ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।

এর আগে সকাল দশটায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়দের সাথে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মতবিনিময় করা হয়। পরে এসআই রাকিবুল ইসলাম ও এসআই সজিব দত্তের নেতৃত্বে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের উদ্যোগে খাসিয়ামারা নদীতে বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আলীপুর খেয়াঘাট থেকে রবার ড্যাম ও নূরপুর পর্যন্ত নৌকাযোগে মাইকিং করা হয়।

এশিয়াবিডি/কেকে/ইসমাইল
আরও সংবাদ