সিলেট পাসপোর্ট অফিস দালালদের দখলে!
সিলেট পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম চরম আকার ধারণ করেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছেনা সেবা। সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সিলেট পাসর্পোট অফিসে দালালদের ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে। প্রবাস ফেরত নাগরিকরা জামেলা করতে চান না, তাই দালাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করেন তারা।
দালালরা টাকা পেলেই তিন মাসের কাজ ১মাসে করে দিতে পারে। অথচ নিয়মানুসারে আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পাসপোর্ট পাওয়া যায় না । সিলেট পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে কয়েকজন ট্রেভেলস্ ব্যবসায়ী, কতিপয় সাংবাদিক নামধারী দালাল ও স্থানীয় কয়েকজন সুবিধাভোগি ব্যক্তি রীতিমত পাসপোর্ট অফিসকে তাদের রুটিরুজির স্থান হিসেবে বেছেঁ নিয়েছেন। পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ফাইল জমা দেয়া যায় না। নানা অজুহাতে ফাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভূল না থাকা স্বত্ত্বেও ভূলের অজুহাতে ফাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয় চেকআপ সেক্টর থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রাভেল ব্যবসায়ী বলছেন, কতিপয় ট্রাভেল এজেন্টদের সাথে আঁতাত করায় পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ফাইল জমা দেয়া যায় না। ওই সব এজেন্টদের কোড ফাইলের উপর লেখা না থাকলে, ফাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রকৃত ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তিতে পড়েন। ধরনা দিতে হয় ট্রাভেল এজেন্টদের কাছে। এদিকে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় গেলে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের পর দুদক জানায়- সিলেটে কতিপয় ট্রাভেলস ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে দালাল চক্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এছাড়াও নানা দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদক। এরপরও থেমে নেই পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এশিয়াবিডি /ডেস্ক