ভারতকে দেড় শ করতে দেয়নি বাংলাদেশ

শেষ পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। ছবি: এএফপি
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। ছবি: এএফপি
অভিষেকের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছিলেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেওয়ার অভ্যাস নিজের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও দেখালেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লে শেষেই বোলিংয়ে এসেছিলেন আমিনুল। তাঁর তৃতীয় বলে মাহমুদউল্লাহর কাছে ক্যাচ দিয়েছেন কেএল রাহুল। শুরুতে রান তুলতে না পারায় পাহাড় গড়াও হয়নি তাদের। ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তুলেছে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর ভারতের।

এর আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন পেস বোলাররা। টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশ আঘাত হেনেছে প্রথম ওভারেই। প্রথম ৫ বলে দুই চার মারা রোহিত শর্মাকে (৯) ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু করেছেন শফিউল ইসলাম। প্রথম স্পেলে উইকেট না পেলেও তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা আল-আমিন হোসেন দারুণ করেছেন পাওয়ার প্লেতে। প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন আল-আমিন। তাই ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রান তুলেছে ভারত।

শ্রেয়াস আয়ার নামার পর ভারতের রানের গতি বেড়েছে। ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৬৯ রান। আমিনুলের বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আয়ার। কিন্তু শেষ হাসি বাংলাদেশের লেগ স্পিনারের। তাঁকে হাঁকাতে গিয়ে অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈমকে প্রথম ক্যাচের স্বাদ দিয়েছেন আয়ার। ১৩ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন আয়ার।

ইনিংসের একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন শিখর ধাওয়ান। কিন্তু যখনই ইনিংসের গতি বাড়ানো দরকার ছিল তখনই রান আউট হয়ে গেছেন ধাওয়ান। দলকে ৯৫ রানে রেখে ফিরেছেন এই ওপেনার। তাঁর ৪২ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও এক ছক্কা। এর পর ইনিংস ধরে রাখার কাজ করেছেন ঋষভ পন্ত (২৬ বলে ২৭ রান)। অভিষিক্ত দুবেকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় দিয়েছেন আফিফ। ৬ উইকেটে ১২০ রান তোলা ভারত তবু লড়াকু ইনিংস গড়তে পেরেছে আজ।

শেষ দুই ওভারেই ঝড় তুলেছে ভারত। শেষ দিকে ওয়াশিংটন সুন্দরের ৫ বলে ১৪ রানে ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৮ বলে ১৫ রানে ৩০ রান এসেছে ১৯ ও ২০তম ওভারে।

আরও সংবাদ