যুক্তরাজ্যের স্পাউস ভিসা: ‘প্রিয় সমাজ নিজেকে বদলান’


একটা সুন্দর ট্রেন্ড চালু হয়েছিল। খুব কম বয়সে ছেলে মেয়ে বিয়ে করে স্বাবলম্বী হয়েছে। পরিবার আত্মীয় স্বজন সবাইকে আর্থিক ভাবে মোটামুটি একটা সাপোর্টও দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসা ওপেন হওয়ার পাশাপাশি স্পাউস ভিসা শত শত পরিবারের দিন ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

কমেছিল সিলেট সহ সারা দেশের বেকারত্ব। বেড়েছিল দেশের রেমিট্যান্স। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শুধু অর্থ কাজ করেছে এমন নয়। পরিবারের সমস্যা গুলোর সমাধান হয়েছে।

ছেলেমেয়ে যখন জ্বিনা করার সমাজে হাবুডুবু খাচ্ছে তখন তারা বিয়ে করেই পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়েছে। সাংসারিক হয়েছে। যেখানে আপনি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিয়ে করার ট্রেন্ড চালু করে রেখেছেন। বিয়েকে জনমের কঠিন করেছেন। বিয়ে করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋনের ব্যাগ কাধে তুলে দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে কিছু টাকায় আপনার ছেলেমেয়েরা পরিবার সমাজ ও দেশের অর্থনৈতিক সংকট বদলে দিতে চলছে। সাথে বিয়ে করে নিজেকে আরও ঘুছিয়ে নিতে পেরেছে।
আপনি এর চেয়ে বেশি আর কি চেয়েছিলেন আপনার সমাজে?

হ্যাঁ, সব ভালো জিনিসের একটা মন্দ দিক থাকে। সেটা সবজায়গায় বিদ্দমান। কিছু মানুষ এই জিনিসটা কাজে লাগিয়ে কন্টাক্ট ম্যারেজ নামে বিজনেস করেছে। চাইলে আমরা ট্রেন্ডের মাধ্যমেই তা বন্ধ করতে পারতাম।

কিন্তু আমাদের অতিরিক্ত ট্রল, কথাবার্তা, নিউজ, অনলাইন হ্যাশট্যাগিং এগুলো আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পৌচেছে। দিন শেষে আমরা আমাদেরই ক্ষতি করেছি। ক্ষতির পরিমাণ কিন্তু অনেক বেশি। যদি বিয়ে করে কেউ স্বাবলম্বী হয়ে যায় সেখানে সমাজের, আমাদের কি সমস্যা?

এই কঠিন সমাজের সত্যি সংস্কার চাই। অন্যের ভালো দেখলে আমার জ্বালাপোড়া কমাতে চাই। হোক না আমার কিছু ক্ষতি। কিন্তু কয়েক প্রাণের উপকারে আমি খুশি হয়ে যাবো।

প্রিয় সমাজ নিজেকে বদলান। প্লিজ নিজেকে ভালো করুন।

লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক

আরও সংবাদ