স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সংগঠিত হতে হবে: ড. কামাল

বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সবাইকে সংগঠিত হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সবাইকে সংগঠিত হতে হবে। আসেন আমরা জেলায় জেলায় যাই। আক্রমণাত্মক কথা না বলে তাদের (জনগণকে) বুঝাই, আমাদের আন্দোলন হবে ইতিবাচক, আন্দোলন হবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য, এই ধরনের আন্দোলনকে কেউ শক্তি দিয়ে থামাতে পারবে না, ধ্বংস করতে পারবে না।

রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্প ধারার একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, জনগণের মধ্যে যখন ঐক্যমত হয়েছে, সেই ঐক্যমতের সামনে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বন্দুক নিয়ে কামান নিয়ে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বাঙালি যখন ঐক্যমতে আসে সেই শক্তি হলো সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তির কাছাকাছি আমরা অলরেডি এসে গেছি।

আপনারা পরীক্ষা করে দেখেন। জেলায়, জেলায়, গ্রামে, গ্রামে দিয়ে দেখেন।
তিনি আরো বলেন, আমি যেখানে যাই জিজ্ঞাসা করি এখানে শহীদদের কবর আছে কিনা। সবাই বলে প্রতিটা গ্রামে শহীদদের কবর আছে। এত শহীদরা কেন জীবন দিয়েছিল। ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কারণ এই দেশের জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। সেই মালিকানার জন্য কত মূল্য দেওয়া হয়েছে? মানুষ একাত্তরে যে স্বপ্ন দেখেছিল। সে স্বপ্ন কী বাস্তবায়িত হয়েছে?
ড. কামাল বলেন, আর মাত্র এক/দেড় বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর। সেটাকে সামনে রেখে আসেন আমরা জেলায় জেলায় যাই। আক্রমনাত্মক কথা না বলে তাদের বুঝাই যে শহীদরা কিসের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে মূল্য দিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন দেশে বাস করা। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি বলি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, দেশের মালিকানা দেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমরা মনে করবো আমাদের ৫০ বছরের স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হয়েছে। চলেন এটা আমরা সবাই মিলে করি, ইনশাল্লাহ আমি মনে করি আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব বলেন, জাতিকে সংকটমুক্ত করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের অংশীদারিত্ব ভিত্তিক জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। গত কয়েক বছরে বর্তমান সরকার প্রজাতন্ত্র থেকে জনগণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিচ্ছিন্ন করেছে। দলীয়করণের থাবায় রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষোভ-জিঘাংসার সৃষ্টি হচ্ছে। রাষ্ট্র এখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন।

আরও সংবাদ