স্ত্রীকে প্রিয় নামে ডাকা সুন্নাহ!

আজকাল কিছু মানুষকে দেখা যায়, মোবাইলে তারা স্ত্রীর নম্বর সেইভ করে বিভিন্ন কুৎসিত নামে। কেউ নাম দেয়, ‘আপদ’, কেউ দেয় ‘মুসিবত’, কেউ দেয় ‘জিন্দেগির ভুল’ আবার কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে নাম দেয় ‘ডাইনী’। অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যারা স্ত্রীর নাম সেইভ করে সুন্দর সুন্দর নামে। যেমন : প্রিয়, জান, প্রাণ, জীবনসাথি, আকাশের চাঁদ, অমুকের মা ইত্যাদি। প্রথমটা হলো খুবই জঘন্যতম কাজ আর দ্বিতীয়টি হলো আমাদের প্রিয় রাসুলের সুন্নাহ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন স্ত্রী আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে মাঝে মাঝে ‘হুমাইরা’ (লালবর্ণের সুন্দরী) নামে ডাকতেন। আয়িশা বলেন, ‘কিছু হাবশি বালক মসজিদে খেলাধুলা করছিল। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ডেকে বললেন, ‘ও হুমাইরা, তুমি কি তাদের খেলাধুলা দেখতে চাও?’ আমি উত্তর দিলাম, ‘হ্যাঁ’। [বাইহাকি, আসসুনানুল কুবরা : ৮৯৫১]

কাজি ইয়াজ বলেন, ‘আদর-সোহাগ ও ভালোবাসা প্রকাশার্থেই তিনি হুমাইরা নামে ডেকেছিলেন তাকে।’ [মাশারিকুল আনওয়ার, ১/৭০২]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মে আবদুল্লাহ উপনামেও ডাকতেন। আয়িশা বলেন, আব্দুল্লাহ বিন জুবাইরের জন্মের পর তাকে নিয়ে আমি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলাম। আবদুল্লাহর মুখের ভিতর তিনি নিজের লালা দিলেন। আব্দুল্লাহর পেটে ঢোকা দুনিয়ায় প্রথম জিনিস ছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখের লালা। তিনি বললেন, ‘এ হলো আবদুল্লাহ। আর তুমি হলে উম্মে আবদুল্লাহ।’ এরপর থেকে আমাকে এ উপনামেই ডাকা হয়। যদিও কখনো আমার সন্তান হয়নি। [ইবনু হিব্বান, আসসাহিহ : ৭১১৭]

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ