বাঁশের তৈরি করোনা হাসপাতাল

পরিশোধিত বাঁশ দিয়ে ২শ’ বেডের করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। চলতি এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে এ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়ার টিএন্ডটি এলাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এ আইসোলেশন হাসপাতালটির নির্মাণ করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।

ইউএনএইচসিআর এর সম্পূর্ণ অর্থায়ন ও তদারকিতে গত ৩০ মার্চ থেকে এটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালটির প্রায় ৬০ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় শত রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দিবারাত্রি হাসপাতাল নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

ইউএনএইচসিআর এর অর্থায়ন ও তদারকিতে বিশেষায়িত করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি নির্মিত হচ্ছে। হাসপাতাল নির্মাণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নির্মাণাধীন এ করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারাও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

অত্যাধুনিক করোনা চিকিৎসার সুযোগ–সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালটির সকল চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মী, এ্যাম্বুলেন্স সহ মাসিক সকল ব্যয়ভার ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ইতোমধ্যে এ হাসপাতালের জন্য ডাক্তার, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমও চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। এ হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

সূত্র মতে, চলতি ২৯ এপ্রিলের মধ্যে হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। ৩০ এপ্রিল হাসপাতালটি চালু করার টার্গেট রাখা হয়েছে। তবে আরও দ্রুততম সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। পরিশোধিত মুলি ও বরাক বাঁশের মাধ্যমে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালের মেঝ পাকা করার কথা জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এটিই হবে কক্সবাজার জেলার প্রথম পরিপূর্ণ করোনা ভাইরাস সংক্রামিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন হাসপাতাল।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ