যৌতুক না দেয়ায় নির্যাতন করে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দিল স্বামী
বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে দিল স্বামী। লাজ লজ্জার ভয়ে এক সন্তানের জননী ওই নারী বিচলিত অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে স্বামীর বিরোদ্ধে স্ত্রী সুহিনার অভিযোগ তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর চুল কেটে তিনদিন ঘরের ভিতর বন্দি করে রেখেছিল খবর পেয়ে স্ত্রীর স্বজনরা তাকে বিচলিত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাদঁনীঘাট ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সুহিনা বেগম-(২৩) গত ২৬ জুলাই সোমবার স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল প্রধান আসামী সুহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজনগর উপজেলার চান্দভাগ গ্রামে সুহিনার বাবার বাড়িতে গেলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের ইয়াজ মিয়ার ছেলে সুহেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার সুখেরই ছিল। আমার কোল জুড়ে আসে এক কন্যা সন্তান। বছর তিনেক ধরে ফোরস্টক চালক স্বামী সুহেল আমাকে মাঝে মাঝে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেন। আমি তাকে টাকা দিতে পারিনি বলে আমার উপর নির্যাতন চালায়। আমি আমার কোলের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কিছু সয্য করি। এর পর তিনি শুরু করেন মদ- গাজা ও নিশি বধুদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা। আমি বাধা দিলে আমার উপর চলে নির্যাতন। ধারাবাহিক এ নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই আমাকে বেধরক মারপিট করে আমার চুল কেটে ঘরের রুমে বন্ধি করে রেখে দেয় সুহেল। আমার তিন বছরের শিশু সানিয়া কান্নাকাটি করায় পাশের বাড়ির লোকজন এসে আমার স্বজনদের খবর দেয়। পরে আমার ভাইরা ও আত্মীয়স্বজন মিলে আমাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে আমি মৌলভীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আমরা গতকাল মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছি।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক