ক্রমশই নামছে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা!

কনকনে শীতের মধ্যে বাইসাইকেল নিয়ে যাত্রা। ছবিঃ শুভ গোয়ালা

চিরসবুজ চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারে গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রচন্ড শীত অনুভুত হচ্ছে। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন এখন তাপমাত্রা ক্রমশই নামবে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার(৪ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল সোমবার তাপমাত্রা ছিলো ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রী এবং গত রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সিজনে এটিই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল ও বিকেল হওয়ার পর পরই শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমুল ও শ্রমজীবী মানুষেরা। শেষ রাতে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে কাবু হতে থাকে জনপদ। এ অবস্থায় ছিন্নমূল মানুষসহ জেলার চা শ্রমিকরা পড়েছেন দূর্ভোগে।

এদিকে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভীড় লক্ষ করা গেছে। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে ভোরে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে এবং গবাদি পশুগুলোকে চটের বস্তা ও পুরাতন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখছেন।

হেলদি চয়েজ ফুড ইন্ডাস্ট্রির কিউসি অফিসার বিপ্লব বৈদ্য বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টার আগে অফিসে আসতে হয়। তীব্র শীতে অফিসে আসতে খুব কষ্ট হয়। তাছাড়া এতো ঘন কুয়াশায় আশে পাশের কোনো কিছুই পরিষ্কার বুজা যায় না। এতো সকাল গাড়ি চলাচলও খুব কম থাকে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জাহেদুল ইসলাম মাসুম জানান, গত দু’দিন থেকে মৃদু শৈত প্রবাহ চলছে। এখন তাপমাত্রা ক্রমশই নামবে। সাথে মৃদু শৈত প্রবাহও থাকবে। এতে কয়েকদিন শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।

তিনি আরো বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ধীরে ধীরে এখানকার তাপমাত্রা কমছে। অতীত রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে চাপ কম। জেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন ঠান্ডাজনিত রোগের ভালো চিকিৎসা দেয়া হয়। কউিনিটি ক্লিনিক থেকে তিনদিন চিকিৎসা নিয়েই অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন। এদের মধ্যে যারা একটু বেশি অসুস্থ যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার কম্বল ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা এসেছে। এগুলো ধাপে ধাপে বিতরণ চলছে। আরও কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

এশিয়াবিডি/শুভ/কামরান
আরও সংবাদ