কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র বাড়ীতে ফুটেছে রাতের রাণী “নাইট কুইন”
মিষ্টি সুবাস আর দুধসাদা পাপড়িতে অতুলনীয় ফুল “নাইট কুইন” বা “নিশিপদ্ম”। অনেকের কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ফুলটি রাতে নিজেকে মেলে ধরে, আবার রাতেই ঝরে পড়ে। ফুটার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় বহু বছর। আজ মঙ্গলবার (৫জুলাই) রাতে দুর্লভ ফুলটির দেখা মিলেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র বাড়ীতে।
কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র বাড়ীর আঙ্গিনায় টবে লাগানো গাছে একই সঙ্গে ফুটেছে ৩টি নাইটকুইন বা নিশিপদ্ম। ফুলপ্রেমী কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র বাড়ীর আঙ্গিনায় টবে নাইট কুইন ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। তিনি অবসরে এসবের পরিচর্যা করেন।
কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী বলেন, নাইট কুইনের গাছটি প্রায় ১০ বছর আগে এনে টবে লাগিয়েছিলাম। একাধারে ৩ বছর পরিচর্যা করার পর গাছটিতে প্রথম ফুল ফুটেছিলো। এরপর থেকে প্রতি বছর জুন/জুলাই মাসে গাছটিতে ফুল ফুটে আসছে। প্রথমে যখন আমার গাছটিতে নাইট কুইন ফুটতো তখন খবর পেলে আশপাশের অনেক মানুষ দেখার জন্য আসতো। এখনও আসে। তারা আনন্দ উপভোগ করে। এফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং সুগন্ধি।
উল্লেখ্য, ক্যাকটাস জাতীয় এফুলটি অন্য ফুলের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। বছরের মাত্র একরাব এবং রাতের আধাঁরে ফুটে এই ফুলটি। ফোঁটার পর ৪/৫ ঘন্টা থেকে রাতের ভেতরেই আবার ঝড়ে যায় তাই এই ফুলটি দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না।
পাথরকুচির মতো পাতা থেকে এ গাছের জন্ম। পাতা থেকেই ফুলের গুটি দেখা দিয়ে ১৫ দিন পর বড় কলি হয়। যে রাতে ফুলটি ফুটবে, সেই বিকেল থেকেই কলিটি সুন্দররূপে সাজে। ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে এলে সৌন্দর্যে স্বমহিমায় প্রকাশিত হয়। আবার রাতের ভেতরেই ঝরে যায়।