আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ: এক অনুকরণীয় মনীষীর জীবন ও সংগ্রাম
হযরত আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী রহ. [১৯১৩-২০০৮]। সিলেটের জকিগঞ্জের বাদেদেওরাইল ফুলতলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই মনীষীই পরবর্তীতে ‘ফুলতলী ছাব’ নামে এদেশের আপামর মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন। তিনি এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ছিলেন। এক জীবনে দ্বীন-ইসলামের প্রচার প্রসারে অপরিসীম খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁর এই মেহনত ও অবদান দেশ ও জাতি আজীবন মনে রাখবে। ইসলামের স্বার্থে তাঁর সমগ্রজীবন, কর্মকৌশল-কর্মপন্থা, চিন্তা ও দর্শন গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি বাঁক, সময়কাল ও কাজের ধরন বিশ্লেষণের অবকাশ রাখে। সাধারণত দুনিয়ার অন্যান্য খ্যাতিমান ব্যক্তিদের তুলনায় ইলমে নববীর উত্তরসূরীদের জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁরা জাতিকে ওহির ইলম দ্বারা পরিচালিত করেন। ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ.) ছিলেন হেরার সেই বিচ্ছুরিত আলোকধারার এক উজ্জ্বল তারকা। যার জীবনের লক্ষ্য ছিল মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ অনুসন্ধান করা। ভারতীয় উপমহাদেশে তরীকতের সিলসিলার এক অধ্বঃস্থন মর্দে মুজাহিদ ও মুজাদ্দিদ ছিলেন তিনি। বিশ্ববরেণ্য বুযুর্গ ও ওলি হযরত শাহ ইয়াকুব বদরপুরী (রহ.) এর রুহানি সোহবত ও তরীকতের ইজাযতপ্রাপ্ত খলিফা হিসাবে এই সিলসিলার পরবর্তী নক্ষত্র ছিলেন হযরত ফুলতলী ছাহেব (রহ.)। তিনি তাঁর সময়ের দ্বীনি চাহিদা পূরণ করেছেন। তিনি যখন দেখলেন- মানুষের ঘরে ঘরে কুরআন আছে কিন্তু সহিহ তেলাওয়াত নাই। তাই তাঁর জীবন ও যৌবনকে কুরবানি করে এ খেদমতকে সর্বান্তকরণে চালু করলেন। আল্লাহ তাঁর এ খেদমত কবুল করে নিয়েছেন। এখন দারুল কেরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে কুরআনের খেদমত ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পবিত্র রমজান মাসে কেরাতের তালিম চালু হয়েছে। ঘরে ঘরে ক্বারী তৈরি হয়েছেন।
হযরত ফুলতলী ছাহেব তাঁর জীবনের বড় সময় ব্যয় করেছেন মসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পেছনে। তিনি যে অঞ্চলে গিয়েছেন সেখানেই মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, খানেকা, হাফিজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন। আল্লাহর দ্বীনকে সবকিছুর উর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। দ্বীনের খেদমতেরর জন্য বয়স তাকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি। অশীতিপর এক বয়োবৃদ্ধ আল্লাহর ওলি যুবকদের মতোই জীবনের শেষলগ্নেও মানুষের ঘরে ঘরে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে আলেম তৈরির কারখানা বানিয়েছেন। যারা শরীয়তের হুকুম আহকাম শিখে ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় মানুুষকে আলোকিত করছেন। তাঁর অপরিসীম মেহনতের ফসল আজ গোটা জাতি উপভোগ করছে। মসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি ইসলামি আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছেন। উর্বর বাগান সাজিয়ে গেছেন। যা আজ ফুলে ফুলে সুশোভিত হয়ে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে।
স্যাক্যুলার ও নাস্তিকরা যখন তাদের বইপুস্তকে ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান নিয়ে মিথ্যাচার, ঢং-তামাশা ও আল্লাহর রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সা.) নিয়ে কুরূচিপূর্ণ ভাষায় লেখালেখি করে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেছেন। তার বলিষ্ট ভূমিকার কারণে ইসলাম বিরোধী বাতিল অপশক্তিগুলো ঘাড় নোয়াতে বাধ্য হয়েছে। একজন হক্কানী পীরছাব হয়েও পিরাকির নামে কোন ধরনের ভাবালুতা ও তন্দ্রাচ্ছন্নতা তাকে স্পর্শ করেনি; বরং তিনি ছিলেন ধারালো বর্ষার মতো। তাঁর কর্মপন্থা ছিল শরীয়তের স্পষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে। যারা মাজার ও দরবার সাজিয়ে শরীয়ত বিরোধী কার্য্যকলাপ, গান-বাজনা, ঢাল-ঢপকি বেলেল্লাপনার মোহরত সাজায় তার বিরুদ্ধেও তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন।
তিনি সারাজীবন শাহানশাহের মতো ইসলামের তাকবীর ধ্বনিকে বুলন্দ করেছেন। ক্ষমতার অংশীদার না হয়েও দেশ ও ইসলামের স্বার্থে ক্ষমতাসীনদের চ্যালেঞ্জ করেছেন। মুসলিম উম্মাহ যখনই ঘোর বিপদে পতিত হয়েছে তখনই তিনি অমিত তেজ ও সাহস নিয়ে গর্জন দিয়ে উঠেছেন। তাঁর গর্জনে প্রকম্পিত হয়েছে জালিমের তখত। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও ব্যক্তিত্যের কাছে শাকসগোষ্ঠী বারবার মাথা নুইয়ে দিয়েছে।
ফুলতলী ছাহেবের সারাজীবনের আন্দোলন মেহনত নিছক কোন রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না। তিনি এদেশে ইসলামের বুনিয়াদকে শক্তিশালীকরণে নিরলস কাজ করেছেন। মানুষের মধ্যে তাজিম-তকরিম, সুন্দর ও ভদ্র আচার আচরণ শিক্ষা দিয়েছেন। ভোগবাদী ও লক্ষ্যহীন জীবনকে লক্ষ্যমুখি করেছেন। ইসলামের রঙে মানুষকে রাঙিয়ে মর্যাদার পোষাক পরিয়েছেন। আজ তাঁর সোহবতপ্রাপ্ত মানুষের কাছে গেলে তাঁর উন্নত জীবনের প্রতিচ্ছবি ফোটে উঠে। গ্রামে-গঞ্জে তিনি এমন কিছু প্রচারবিমুখ আল্লাহওয়ালা মানুষ তৈরি করে গেছেন যাদের জীবনের একমাত্র সাধনা রব্বে করিমের নৈকট্যপ্রাপ্তি। তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য হলো- তিনি বড়দেরকে যেমন কাজে লাগিয়েছেন, নসিহত করেছেন তেমনি ছোটদেরকেও স্নেহ ও দরদ দিয়ে দ্বীনের পথের অগ্রসর সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ফুলতলী ছাহেব সবসময় কুরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলতেন- সত্যবাদী মানুষের সঙ্গী হতে। বলতেন মানুষ মানুষ হয় সোহবতে। তাই সৎ সঙ্গ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন। নামাজের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলতেন- যে যত শান্তি মনে নামাজ পড়বে তার জীবন তত শান্তিময় হবে। তিনি ধীরে সুস্থে আল্লাহর দিকে মনকে ধাবিত করে রুকু সেজদা করার আদাব শিখাতেন। তরীকতের একজন বুযুর্গ হিসাবে খানেকা মাহফিল পরিচালনা করতেন। সেখানে আলেম-উলামা থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার ছাত্র, সাধারণ মুসল্লি, গ্রামের কৃষক মজুররা অংশগ্রহণ করতেন। তাঁর সাথে জিকির আযকার, দোয়া-দুরুদ ও নামাজে একান্তে তাঁরা শামিল হতেন। তিনি তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তির জন্য নেক আমল বাতলে দিতেন। সম্মিলতভাবে তাদেরকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করতেন।
তাঁর জীবন দর্শন ছিল- মানুষের অন্তরে হুব্বে রাসূল (সা.) জাগ্রত করা। এজন্য প্রতিটি মাহফিলে তিনি রাসূলের আজিম শান ও মানের আলোচনা করতেন। নবীজির প্রতি সহিহ আকীদা পোষণের গুরুত্ব আরোপ করতেন। যাদের হৃদয়ে হুব্বে রাসূূূলের (সা.) আলো জ্বলতে দেখতেন তাদেরকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে তাদের সামনে অগ্রসর হতে বলতেন। আহলে বায়তদের (রাসূলের বংশের লোকজন) অত্যন্ত তাজিম ও তকরিম করতেন। তাদের কাছ থেকে দোয়া নেওয়ার জন্য বলতেন। তাদের মর্যাদাপূর্ণ স্থানে বসতে দিতেন।
তিনি কখনো ক্ষমতার কেন্দ্রিভবনে প্রবেশ করেন নি। সেই সুযোগ তাঁর ছিলো। দুনিয়াদারি ক্ষমতার বাইরে থেকেও তিনি ছিলেন মুকুটহীন সম্রাট। দেশ ও ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সিংহ শার্দুল। সকল ক্ষমতাধর শাসকরাই তাঁর হুংকারে প্রকম্পিত হয়েছে। তাঁর যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। যখনই কোন ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছেন সফল হয়েই ঘরে ফিরেছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে যখন দেশের সকল আলিয়া মাদরাসাগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার পাঁয়তারা চলছিল তখন সীমাহীন ঈমানী শক্তি ও অমিত তেজ নিয়ে লংমার্চের মত বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেন তিনি। হাজার হাজার মানুষের কাফেলা নিয়ে রাজধানীর বুকে জমায়েত হয়ে তৎকালীন সরকারকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা ও এর অধীনে ফাজিল ও কামিল শ্রেণীর মান (ডিগ্রী ও মাস্টার্সের) প্রদান দাবি জানান। নতুবা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার ইঙ্গিত দেন। সেই সরকার তাঁর সাথে ওয়াদা করে ওয়াদার খেলাফ করে। পরবর্তী ইতিহাস সকলের জানা।
পূর্বসূরীদের মতো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। ব্রিটিশ সরকার তাঁর উপরও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তাঁর জনসভা ও বক্তব্যের উপর সেন্সর আরোপ করা করেছিল। কিন্তু কোন বাঁধাই তাকে ধমাতে পারেনি। যত কঠিন পরীক্ষাই আসুক আল্লাহর উপর অপরিসীম ভরসা করে তিনি এগিয়ে গেছেন। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা যখন ইরাকে হামলা চালায় তখন তিনি ঘরে বসে থাকেন নি। এই ঘৃণ্য আধিপত্য ও পাশবিক হামলার বিরুদ্ধে সিলেটে ঐতিহাসিক সমাবেশ করে হুংকার ছুঁড়েছেন, বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন। সে সময় ঢাকায় দৈনিক ইনকিলাব আয়োজিত ইরাকে যুদ্ধবিরোধী সমাবেশে তিনি তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বুশকে পশুর সাথে তুলনা করে সতর্ক করেছেন। সেই সমাবেশ তিনি বলেছেন- মানুষের স্বভাব হলো দূর্বল মানুষকে সাহায্য করা আর পশুর স্বভাব হলো শক্তিশালী পশু দূর্বল পশুকে খেয়ে ফেলা। বুশ তুমি কি পশু হয়ে গিয়েছো- যে দূর্বলের উপর আক্রমণ করো। তাঁর সেই ঐতিহাসিক বক্তব্য থেকে আমাদের জন্য পরিস্কার শিক্ষা হলো- জালিমের বিরোধীতা করা। মজলুমের পক্ষাবলম্বন করা। তিনি জালিম এবং মজলুমের মধ্যে স্পষ্ট ফারাক তৈরি করে দিয়েছেন।
হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ আজীবন সাম্রাজ্যবাদ, স্যাকুলারিজম ও নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ইসলামের স্বার্থ ছাড়া কারো সাথে তিনি আপোষ করেন নি। দ্বীনের সাথে তিনি সকল ঘরানার মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখতেন। তাঁর উত্তম আদর্শ ও স্পষ্ট চিন্তাধারা তাকে সম্মানের আসনে আসীন করেছে। বাংলাদেশের সকল ঘরানার আলেম উলামারা তাঁকে সমীহ করতেন। সম্মান দিতেন। দুর্দিনে তার পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতেন। প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দলমতের সাথে তার প্রত্যক্ষ কোন উঠবস ছিল না। যখন যারা ইসলামের পক্ষে, হকের পক্ষে ছিলেন তিনি তাদের পক্ষে ছিলেন। যখন তারা বিভ্রান্ত হয়েছে, ইসলামের উপর আঘাত হেনেছে তাদের বিরুদ্ধে ডাক দিতে তিনি কালবিলম্ব করেননি। দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে সবসময় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করেছেন। কোন ধরনের বাড়াবাড়ি অথবা শৈথিল্য তাঁর মধ্যে ছিল না। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা বিশ্বাসই ছিল তাঁর আকিদা ও বিশ্বাস। সাহাবায়ে কেরামদের (রা.) সমালোচনা তিনি সহ্য করতে পারতেন না। তাদেরকে সকল প্রকার সমালোচনার উর্ধ্বে তিনি স্থান দিতেন। রাসূলের পরে তারা ছিলেন পৃথিবীর সেরা মানুষ এই বিশ্বাস লালন করতেন।
আজ আবারো মুসলিম উম্মাহর ঘাড়ে মেঘের ঘনঘটা। দুনিয়ার দিকে দিকে তারা লাঞ্ছিত-বঞ্চিত। মুসলিমদের প্রথম কেবলা বায়তুল মাকদাসকে কেন্দ্র করে জায়ানিস্টরা নির্বিচারে মুসলিম নারী-পুরুষ, শিশু হত্যা করছে। অথচ পুরো মুসলিম বিশ্ব নির্বিকার। নামধারি মুসলিম নেতারা দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন। কেউ নিরবে কেউ প্রকাশ্যে জালিমের সমর্থক হয়ে ক্ষমতার ললিপপ চুষছেন। জাতিকে পরিচালিত করার মতো একজন যোগ্য কান্ডারির বড়ই অভাব। আবারও ফুলতলী ছাহেবের মতো দ্বীন দরদি একজন কামেল ওলি ও হাদির প্রয়োজন। যিনি জালিমকে জালিম বলবেন আর মজলুমের ভরসাস্থল হবেন।
পরিশেষে এটা বলা যায়- ফুলতলী ছাহেবের মতো দূরদর্শি ব্যক্তিত্বের জীবনের শিক্ষাই পারে দূর্বল ও হতোদ্দ্যোম উম্মাহকে আশার আলো দেখাতে। ক্ষমতার সেবাদাসের মনোবৃত্তি পরিহার করে নিজস্ব শক্তি ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বাতিলের মোকাবেলা করতে হবে। পূঁজিতান্ত্রিক গোলকায়তন, স্যাক্যুলার মানসিকতা ও সাম্রাজ্যবাদী প্রবনতার বিরুদ্ধে দেশ ও জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জালিমের সাথে স্পষ্ট ফারাক রেখে মজলুমে কণ্ঠস্বর হয়ে ময়দানে হাজির থাকাই ঈমানের দাবি। তাহলেই আমরা হবো তাঁর প্রকৃত উত্তরসূরী। নতুবা ফাঁপা বেলুনের মতো সবকিছু চুপসে যাবে।
হাফিজ সাব্বির আহমদ
পরিচালক,
সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ অ্যান্ড অ্যাডুকেশন সেন্টার, বার্মিংহাম, ইউকে।