ধোবাউড়ায় ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী লোকজনের অভিযোগ, ১০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও বাঘবেড়, পোড়াকান্দুলিয়া, গোয়াতলা, ঘোষগাঁও, ধোবাউড়া সদর,দক্ষিন মাইজপাড়া ইউনিয়নে সুষ্ঠুভাবে বিতরণে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ৮ থেকে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। সরজমিনে ৭ ইউনিয়নে গিয়ে ভিজিএফের চাল পেয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদকের নিকট অভিযোগ করেন।
উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মজিবুর রহমান, খোকন মিয়া বলেন, তাঁদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৭ থেকে ৮ কেজি করে। প্রতিবাদ করলেও কেউ কোন তোয়াক্কা করেননি।
দক্ষিন মাইজপাড়া ইউনিয়নের আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, সরকার ঈদ উপলক্ষে আমাদেরকে কিছু সাহায্য-সহযোগিতা দিচ্ছে। তার মধ্যেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কমিশন খাচ্ছে ।’
উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের সহায়তা কর্মসূচির (ভিজিএফ) অংশ হিসেবে উপজেলায় ৪০৬২৪ টি অসহায় ও দুস্থ লোককে ভিজিএফের কার্ড দেওয়া হয়। সেই হিসাবে কার্ডদারির মাঝে ৪০৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কার্ড পাওয়া ব্যক্তিরা প্রত্যেকে ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারউপজেলার ৭ইউনিয়নে ভিজিএফের এসব চাল বিতরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ১০.৫০ থেকে ১১কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নে সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে নির্ধারিত কার্ড বিতরণ না করে মানুষের মাঝে নিজেকে সৎ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন চেয়ারম্যান স্বপন তালুকদার। অপরদিকে কয়েকজন ইউপি সদস্যকে বিজিএফের কোন কার্ড না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে পোড়াকান্দুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এই নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিমের নিকট মৌখিক অভিযোগও করেছেন পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য।
বিতরণে অনিয়ম নিয়ে ঘোষগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক বলেন, বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ মিথ্যা,অনেক সময় চাল দেওয়ার সময় মাপে একটু এদিক সেদিক হতে পারে।
বাঘবেড় ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ রব্বানী সুমন নিজের ক্ষমতার দাপটে কার্ডধারী সাধারণ মানুষের মাঝে চাল কম দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি সুষ্ঠভাবেই চাল বিতরণ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান বলেন, সাত ইউনিয়নেই আমাদের নিয়োজিত অফিসাররা ছিলেন কোথাও কোন অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।
এশিয়াবিডি/কেকে/জাকারিয়া