জগন্নাথপুরে ভুয়া ‘সনদধারী’ শিক্ষকদের ঠেকাতে একাট্টা স্থানীয়রা

জগন্নাথপুরে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বহিরাগতদের ঠেকাতে স্থানীয়রা একাট্টা হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় পৌরপয়েন্টে সহকারি শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ চাকুরীপ্রত্যাশি জগন্নাথপুরের স্থানীয়দের উদ্যাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাঁরা এবিষয়ে একমত পোষণ করেন।

চাকুরী প্রত্যাশি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন এম. শামীম আহমেদ, দ্বীপক তালুকদার, সুমন সরকার, রিংকু চন্দ দাস, জামাল উদ্দীন, আবু তাহের, লিপ্টু দাস, নিধি দাস প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুর উপজেলায় ভুয়া নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দা সেজে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বহিরাগতরা অবৈধভাবে চাকুরীপ্রাপ্ত হচ্ছেন। তাদের দাপটে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। এবারও ভুয়া নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহে বহিরাগতদের তৎপরতা চলছে। এসব প্রতারকদের অপতৎপরতা রোধ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

জগন্নাথপুর পৌরশহরের ইকড়ছই আবাসিক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সহকারি শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকুরীপ্রত্যাশি এম. শামিম আহমদ বলেন, অনেক বছর ধরে ভুয়া নাগরিক

সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে স্থানীয় নাগরিক সেজে বহিরাগতরা চাকুরি প্রাপ্ত হচ্ছেন। এতে করে আমরা স্থানীয়রা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট আজ রবিবার আমরা লিখিত আবেদনপত্র দাখিল করবো।

স্থানীয় বাসিন্দা আরেক চাকুরীপ্রত্যাশী খালেদ জিবুল বলেন, সস্প্রতি প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। চলতি মাসে মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরীক্ষার পূর্বে নাগরিক সাটিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য অন্য জেলার লোকজন ভুয়া নাগরিক সনদপত্রের সংগ্রহের জন্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এটি প্রতারণা। একারণে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান দিয়েছি।

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, সহকারি শিক্ষক পদে এবার জগন্নাথপুরে ৫০১ জন উর্ত্তীণ হয়েছেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে হয়তো চলতি মাসে হতে পাবে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ভুয়া সনদপত্র নিয়ে স্থানীয় নাগরিক সেজে যারা চাকুরী করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও সংবাদ