পঙ্গপালের মত উড়ে আসছে এই প্রজাপতি!

কিছুদিন ধরে একটি পতঙ্গের নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। পঙ্গপাল। যেদিক দিয়ে এই পতঙ্গ দল বেঁধে উড়ে যায় সবুজের কোনো চিহ্ন থাকে না।

এরই মধ‌্যে গত তিন দিন ধরে নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে দল বেঁধে উড়ে আসছে এক ধরনের পতঙ্গ। কৃষকরা ভেবেছেন পঙ্গপাল। দুশ্চিন্তায় তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।

তবে দুয়েকটা পতঙ্গ ধরে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখে বোঝা গেলো সেগুলো পঙ্গপাল নয়, এক ধরনের প্রজাপতি। সাদা ও হলুদে মেশানো এ প্রজাপতিগুলো আগে কখনো দেখেননি স্থানীয় খড়মপুরবাসী।

অনেকেই বলছেন, এগুলো প্রজাপতির অন্য একটি জাত নাকি সত্যিকারের রাক্ষসী পঙ্গপাল সে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এলাকাবাসী। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়নি।

খড়মপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ধামইরহাট সরকারি এম এম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. হাদিউল ওমামী বলেন, ‘গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে দেখা যায় ১০ থেকে ১৫টি করে পতঙ্গ দলবদ্ধভাবে উড়ে আসছে। কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখছি পঙ্গপাল ধেয়ে আসার কথা। পঙ্গপালের কথা ভেবে গ্রামের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এই পতঙ্গগুলো ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের খড়মপুর গ্রামের উপর দিয়ে উড়ে যায়। পরপর তিনদিন এগুলোকে উড়ে যেতে দেখা যায়।’

স্থানীয় খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফার্সিপাড়া গ্রামের কাছে কিছু লোককে আকাশের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখি। ঝাঁক বেঁধে অসংখ‌্য পতঙ্গ উড়ে আসছে। তাই দেখছে তারা। সেগুলোকে মাঝে মাঝে প্রজাপতির মতো মনে হচ্ছিল, আবার মাঝে মাঝে পোকার মতো লাগছিল। তারা দলবদ্ধভাবে ফার্সিপাড়া থেকে খড়মপুর বর্ডার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে উড়ে যাচ্ছিল।’

উপজেলা কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা সেখানে লোক পাঠিয়েছি, তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, এটি প্রজাপতিরই অন্য একটি জাত। পঙ্গপাল নয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ