বাজারে এতো লোক, পুলিশ বলছে স্বাভাবিক!
এই চিত্র মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজারের! কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। বাজার চলছে আগের মতো। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে যেখানে মানুষদের সতর্ক থাকার কথা। সেখানে তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। মানছেন না প্রশাসনের নির্দেশনা।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে স্থবির যখন পুরো বিশ্ব। শহর গ্রামের সবাই যখন লকডাউনে বন্দি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারের উদ্যোগে সরিয়ে নেয়া হয় মাছ বাজার, কাচা বাজার ইত্যাদি। পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছে প্রশাসন। মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অথচ মাঠ পর্যায়ে এর চিত্র ভিন্ন। মফস্বলের বাজারগুলোর অবস্হা করুন। লোকে লোকারণ্য স্থানীয় হাটবাজার, জনসমাগমে ভরপুর এলাকার দোকানগুলো। এমনকি নিয়মিত চলছে সাপ্তাহিক হাট বাজারও।
সরেজমিনে রাজনগরের মুন্সিবাজারে গেলে এ চিত্র দেখা যায়। দেখা যায় ঠিক আগের মত বাজার চলছে। মানুষজন বাজার করছে। কোন নিয়মই তারা মানছেন না। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন বাজারে গেলে দোকানগুলো বন্ধ হয়। তারা চলে গেলে আবার জনসমাগম শুরু করেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কালাইরগুল বাজার, আখরাঘাট বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে একই চিত্র।
মুন্সিবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা ইমন আহমদ বলেন, আমাদের এখানে ঠিক আগের মত বাজার চলছে, লোকজন বাড়ছে অন্যান্য দিনের তুলনায়, মানুষ বুঝতে পারছে না করোনার এই পরিণতি। আমি প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি এই বিষয়টা আমলে নেয়ার জন্য।
আরও এক বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাজার স্থানান্তর করা হয়। তাহলে কেন মাছ বাজার, কাচা বাজারে আজ এতো জনকোলাহল? কই আজ প্রসাশন? এগুলা কি প্রসাশনের নজরে পড়েনা?
এ বিষয়ে রাজনগর থানার অফিসার ইন চার্জ আবুল হাসেম এশিয়াবিডিকে বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাচাবাজারসহ মাছ বাজার স্থানান্তর করা হয়। এখন প্রত্যেকটা দোকানের মধ্যে ১২ ফুট দুরত্ব বিদ্যমান। আমরা দুইদিন মাঠ পরিদর্শন করে দেখেছি জনসমাগম খুবই কম। আজকে বাজারবার থাকায় জনসমাগম একটু বেশিই থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক