আজমিরীগঞ্জে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মানের পায়তারা!

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২ নং বদলপুর ইউনিয়নে পাহাড়পুর বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন তহসিল অফিসের সামনে সরকারী জায়গা দখল কর ঘর নির্মানের পায়তারা। এনিয়ে এলাকায় জনসাধারনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ৷

প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার উপর ব্যয়ে ঢেউটিন ও বাঁশের বেড়া দিয়েছে উক্ত ইউনিয়ন তহসিল অফিসের ঝাডুদার মায়া রানী শুক্লবৈদ্য ও তার ছেলে রতন শুক্লবৈদ্য ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানায় ইতিপূর্বেও ইউনিয়ন তহসিল অফিসার সালাম এর নির্দেশে এভাবে কয়েকবার ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে বন্ধ হয় ঘর নির্মান।

কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্হিতির কারনে লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকার সুযোগ আবারও তহসিল অফিসার সালামের আশ্বাসে ঘর তৈরির কাজ শুরু করেন তারা ৷

এবিষয়ে পাহাড়পুর বাজার কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুতলাল দাস জানান, ঐ জায়গায় বাজারের গণ শৌচাগার নির্মানের লক্ষে বাজার কমিঠির পক্ষ থেকে আমি ডিসি সাহেব বরাবর একটি দরখাস্ত করেছি ৷ খবর পেয়ে আমি গিয়ে মায়া রানীকে বাঁধা প্রদান করলে মায়া রাণী বলেন তহসিলদার সালামের আদেশে আমি এই বেড়া দিচ্ছি ৷ পরে আমি তহসিলদারে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি আমার সহকারী নিরুপমকে বিষয়টি দেখার জন্য বলছি ৷ কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকারী নিরুপম আসেনি

এ বিষয়ে তহসিলদার সালামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ময়লা আবর্জনার জন্য আমি আমার পকেটের টাকা খরচ করে এই বেড়া দিয়েছি ৷

ঝাড়ুদার মায়া রাণীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি গরীব মানুষ আমার ছেলে বেকার এতোদিন ধরে আমি তহসিল অফিসে কাজ করছি, তাই তহসিলদার সালাম কে আমি বলি উক্ত জায়গায় একটি ঘর নির্মাণ করে আমার ছেলেকে ব্যবসা দিয়ে দিতে চাই তখন তহসিলদার সালাম আমাকে অনুমতি দিলে আমি আমার টাকায় ঢেউটিন ও বাঁশ কিনে আনি ৷ এ মধ্যে কিছু পুরোনো টিন তহসিলদার সালাম আমাকে দেয় ৷

এদিকে তহসিলদার সালামের বক্তব্য অনুযায়ী সরকারী জায়গায় নিজের পকেটের অর্ধলক্ষাধিক টাকার উপরে খরচ করে বেড়াঁ নির্মান করা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ৷

এশিয়াবিডি/সাইফ/মিলাদ

আরও সংবাদ