ডাক্তার হয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চায় সাদিয়া

আবিদা খানম সাদিয়া। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে বড় হয়ে কাজ করতে চায় সে। তার ইচ্ছে একদিন দেশের নামকরা ডাক্তার হবে।

শমসেরনগর বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সাদিয়া।

ছোটবেলা থেকে চঞ্চল প্রকৃতির এই মেয়ে পড়ালেখায় অনেক মেধাবী। এর আগেও সে পিএসসি ও জেএসসিতেও একই বিদ্যালয় থেকে সে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান আবিদার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কাটাজুরি গ্রামে। তার বাবা রাজনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মইনুল ইসলাম খান। তিনি নব্বই দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। আবিদার মায়ের নাম সালমা সুলতানা। মা ঘরের সবকিছু দেখাশোনা করেন।

এসএসসি তে জিপিএ ৫ পাওয়ার সুবাদে সাদিয়ার সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। সাদিয়া শুরুতেই তার ভালো ফলাফলের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান। বিশেষ করে রাজনগর উপজেলার হাওর অঞ্চলের মানুষের পাশে দাড়াতে চায় সে। তার উপজেলায় হাজার হাজার চা শ্রমিকদের বসবাস। তাদের চিকিৎসার জন্য সে বড় হয়ে কাজ করতে অনেক বেশি আগ্রহী।

আবিদার বাবা ময়নুল ইসলাম খান জানান, রাজনীতির মাঠে থেকে মানুষের পাশে দাড়ানো যতোটা কঠিন তার চেয়ে সহজ পেশাদার হিসেবে ভালো কিছু করে মানুষের পাশে দাড়ানো। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে এখনো মাঠে আছি। তবে মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছি। সেভাবে বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ানোর সুযোগ আমার এখনো হয় নি। আমি চাই আমার মেয়ে বড় হয়ে এমন কিছু করুক যা আমার এলাকাও দেশের মানুষের জন্য উপকারে আসে। তার ইচ্ছে যেন আল্লাহ পূরণ করেন সেজন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।

এশিয়াবিডি/ ডেস্ক/ মুবিন

আরও সংবাদ