ছাতকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, আকস্মিক ঘুর্নিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি

সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

যেকোন সময় উপজেলা সদরের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওযার আশংকা রয়েছে। পৌর শহরের প্রধান সড়ক ছাড়া প্রায় সবকটি সড়কে পানি উঠে গেছে। শহরের অলি-গলি, বাসা-বাড়ি ও আঙ্গিনায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শহরবাসী। বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছেন সাধারন মানুষ।

এদিকে উপজেলার প্রায় সবকটি বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবন সহ সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষ বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি, দোকানপাট বন্যায় প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র খোলা বা কোন সরকারী বেসরকারী ত্রান সামগ্রী বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি ১৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেডে লোডিং-আনলোডিং প্রায় বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বন্যার মধ্যে আকস্মিক ঘুর্নিঝড়ে উপজেলার ধারন বাজার এলাকায় দোকানপাট ও গাছপালার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির জানান, কন্ট্রোল রমের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বক্ষনিক খবরা-খবর রাখা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘুর্নিঝড় কবলিত এলাকা তিনি পরিদর্শনে যাচ্ছেন বলে জানান।

এশিয়াবিডি/সুনামগঞ্জ/এসএইচ

আরও সংবাদ