বিশ্ব ভালোবাসা দিবস : ইসলামি দৃষ্টিকোণ

বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আমরা দেখি যে মুসলিম যুবক-যুবতীরা চৌদ্দ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করার জন্য নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। অথচ এটার সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্কই নেই বা থাকতে পারে না। আর এ বিষয়টি আজ “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস : ইসলামি দৃষ্টিকোণ” শিরোনামে কুরআন-হাদীসের আলোকে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিসরে জানার চেষ্টা করব ইনশা-আল্লাহ।

ভালোবাসা কি?

ভালোবাসা কি এটাকে ব্যাখ্যা করে বুঝানো সম্ভব নয়! এটা আসলে একটি অনুভূতি। এটাকে কোন সংজ্ঞা দিয়ে যদিও বুঝানো সম্ভব নয়, তারপরও ভালবাসা বলতে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে- কারো প্রতি বা কোন কিছুর প্রতি অন্তর ঝুকে যাওয়া উনার মধ্যকার সৌন্দর্যের জন্য বা ঐ জিনিসের মধ্যকার সৌন্দর্যের জন্য, উনার গুণের পরিপূর্ণতার জন্য বা উনার কোন ইহসানের (উপকারের) জন্য।

 কাদের প্রতি ভালোবাসা রাখবেন?

একজন মুমিনের অন্তরে সৃষ্টি জগতের সবার প্রতি ভালোবাসা থাকা উচিত। আর এই ভালোবাসাটা সবচেয়ে বেশি থাকতে হবে সৃষ্টি জগতের খালিক ও মালিক মহান আল্লাহর প্রতি। তারপর আল্লাহর সৃষ্টির মধ্য যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও জগতের জন্য রহমত নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি। একথাটি সরাসরি আল্লাহ তায়ালা সূরা তওবার ২৪ নম্বর আয়াতে বলেছেন- “হে নাবী আপনি বলুন, তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের ওই সম্পদ, যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দ হওয়ার আশংকা তোমরা করছ এবং ওই বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা করো আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত এবং আল্লাহ ফাসিক্বদেরকে সৎপথ প্রদান করেন না”। সূরা বাকারার ১৬৫ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে- “কিছু মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ছাড়া (তাঁর) কতিপয় সমকক্ষকেও মানে, যাদেরকে তারা আল্লাহকে ভালোবাসার মতই ভালোবাসে। পক্ষান্তরে যারা ঈমানদার, আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা আরো বেশি”।

সহীহ বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিনটি গুণ যার মাঝে থাকবে সে ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে পারবে, তা হচ্ছে- আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সবকিছু থেকে তার কাছে অধিক প্রিয় হওয়া, একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে কাউকে মহব্বত করা এবং ঈমান আনার পর কুফুরিতে ফিরে যাওয়াটা আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দের হওয়া”। সুতরাং কাউকে ভালোবাসা এবং কারো সাথে শত্রুতা রাখার মানদণ্ড হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসতে হবে এবং শত্রুতাও যদি কারো সাথে রাখতে হয়, তাও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই। মুসনাদে আহমাদে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “নিশ্চয় আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা”।

 বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কি?

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস মূলত একটি নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম। এর ইতিহাস অনেক পুরাতন হলেও এটা পালন করা বা চর্চা শুরু হয়েছে প্রায় বিগত তিন শতাব্দী আগে বা এর কিছু পূর্বে। এটার বিভিন্ন তথ্য বা ইতিহাস পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো রুম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের সময়ের একটি ঘটনা। সময়টি ছিল দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারি। সে সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন সাধু ছিল খুব নোংরা প্রকৃতির। সে তরুণ ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রেমের গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দীক্ষা দিত। যার কারণে তৎকালীন সময়ে সমাজের মধ্য অশ্লীলতা বেড়ে যায়। আর এই অপরাধে সম্রাট ক্লডিয়াস সাধু ভ্যালেন্টাইনের শিরশ্ছেদ করেন। এর পর তার অনুসারীরা তার নামের অনুসরণে এ দিনটির নাম করণ করে “ভ্যালেন্টাইন ডে” যেটাকে বর্তমান বিশ্বে বলা হচ্ছে-“বিশ্ব ভালোবাসা দিবস”।

কালের পরিক্রমায় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সেটি বাংলাদেশেও পালন করা শুরু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। আর এরপর থেকেই বাংলাদেশের সরলমনা তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ঈমানের কথা ভূলে গিয়ে মেতে উঠছে বিভিন্ন নোংরামিতে। এ দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে। নিজেদের রূপ-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধুই কি তাই! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেওয়ার জন্য। তারপর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প থেকে আরো খারাপ কিছু ঘটে থাকে। যেগুলো পরের দিন আবার মিডিয়ায় আসে।

এই দিবসের ক্ষতিকর দিক।

এই দিবসের অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যেগুলো ইসলাম সমর্থন করে না কখনও। যেমন, সমাজে ফিতনা ফাসাদ বেড়ে যায়। এই দিবস পালনের নামে সমাজে অনেক ফিতনা ফাসাদ বেড়ে যায়। আর সমাজে ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টি করে তাদের মহান আল্লাহ ভালোবাসেন না। সূরা মাঈদার ৬৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে- “আর তারা তো পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়। আর আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না”।

নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা বেড়ে যায়।

এই দিবস পালনের নামে সমাজে নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা বৃদ্ধি পায়। আর যাদের দ্বারা সমাজে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটে দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সূরা আন-নূরের ১৯ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে- “যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি”। সমাজেই অশ্লীলতা বা চরিত্রহীনতার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সমূহ ক্রমাগত অবতীর্ণ হয়। সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত উবাইদুল্লাহ ইবনে জারীর তাঁহার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে পাপাচার হতে থাকে এবং তাদের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তাদের পাপাচারীদের বাধা দেয় না, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর ব্যাপকভাবে শাস্তি পাঠান”।

এসব নির্লজ্জতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সমাজে যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ ও খুন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যখন এসব বৃদ্ধি পাবে তখন সমাজে মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে যায়। মালিকে মুয়াত্তায় এসেছে-
” হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপক হবে, তথায় মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপক হয়ে দেখা দিবে”।

 দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে যায়।

ইসলামে নারী পুরুষের সম্পর্কের পবিত্র আর বৈধ পন্থা হল বিয়ে। এর বাইরে অর্থাৎ বিয়ের আগে নারী পুরুষের সম্পর্ক, বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড, লিভ টুগেদার এসব সম্পূর্ণ হারাম। সূরা আর-রুমের ২১ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে- “আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের (মানব জাতির) মধ্য থেকেই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য (বিপরীত লিঙ্গের) জুড়ি, যাতে করে তোমরা বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো! এ উদ্দেশ্যে তিনি তোমাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন হৃদ্যতা- বন্ধুতা আর দয়া- অনুগ্রহ অনুকম্পা। এতে রয়েছে বিপুল নিদর্শন চিন্তাশীল লোকদের জন্য”।

সূরা বনী ইসরাঈলের ৩২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে- “ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। এটা একটা খারাপ কাজ এবং নিকৃষ্ট পথ”। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমান সময়ে যুবক-যুবতীরা বিবাহের পূর্বে দৈহিক সম্পর্কে জড়িত হতে কোন রকম কুণ্ঠাবোধ করছে না। অথচ যুবক বয়সে হযরত ইউসুফ (আঃ) কে যখন মিশরের এক রানী অভিসারে ডেকেছিল, তখন তিনি কারাবরণকেই এহেন অপকর্মের চেয়ে উত্তম জ্ঞান করেছিলেন। পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা ইউসুফের তেইশ থেকে চৌত্রিশ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এ ঘটনা আল্লাহ নিজেই তাঁর ভাষায় খুব চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন।

শরীরে উল্কি আঁকে।

এই দিবসে মুসলিম তরুণীরা নিজের শরীরে উল্কি আঁকাতে গিয়ে অন্যের সামনে নিজের শরীর প্রদর্শন করে যা প্রকাশ্য গুনাহের কাজ। এটা এমন গুনাহ যে ব্যক্তি উল্কি আঁকে এবং যার গায়ে তা আঁকা হয় উভয়য়ের প্রতি আল্লাহর লানত। সহীহ বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা লানত করেন সে সব নারীদেরকে যারা নিজে পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়, যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকে এবং অন্যকে উল্কি করে দেয়”।

বিধর্মীদের অনুসরণে কঠোর হুঁশিয়ারি।

নিঃসন্দেহ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কোন মুসলমানে দিবস হতে পারে না। এটা বিধর্মীদের একটা নোংরা সংস্কৃতি। আর তাদের অনুসরণ করার ক্ষেত্রে নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠিন ভাষায় হুঁশিয়ারি করেছেন মুসলিম জাতিকে। সহীহ বুখারী শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- অবশ্য অবশ্যই তোমরা তোমাদের আগের লোকদের নীতি-পদ্ধতিকে বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি দবের গর্তে ঢুকে, তাহলে তোমরাও তাদের অনুকরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এরা কি ইয়াহূদী ও নাসারা? তিনি বললেন- আর কারা”?
সুনানে তিরমিজী শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- বানী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উম্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। আর বানী ইসরাঈল বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উম্মাত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেন, আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত”।

বিধর্মীদের দলভুক্ত হবে।

বিধর্মীদের কোন কিছুই একজন মুসলিমের জন্য অনুসরণ করার কোন সুযোগ নেই। আর কেউ যদি এটা করে তাহলে সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। সুনানে তিরমিজী শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- বিজাতির অনুকরণকারী ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী-নাসারাদের অনুকরণ করো না। কেননা ইয়াহূদীগণ আঙ্গুলের ইশারায় এবং নাসারাগণ হাতের ইশারায় সালাম দেয়”। সুনানে আবু দাউদ শরীফের হাদীসে এসেছে- “হযরত ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে”।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক বিষয় জানার, বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। বিধর্মীদের সব ধরনের ঈমান বিধ্বংসী কাজ থেকে আমাদের যুবক-যুবতীদের আল্লাহ হেফাজতে রাখুন। আমাদের সব কাজগুলো যেন তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)

লেখক ইমাম ও খতিব ওল্ডহাম জামে মাসজিদ, যুক্তরাজ্য।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান 
আরও সংবাদ