প্রশাসনের অভিযান দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়!

মুখে মাস্ক না থাকায় প্রশাসনের অভিযান দেখে পড়নের শার্ট দিয়ে মুখ ডাকছেন একব্যক্তি।
মুখে মাস্ক না থাকায় প্রশাসনের অভিযান দেখে পড়নের শার্ট দিয়ে মুখ ঢাকছেন একব্যক্তি। ছবি:: সংগৃহীত

সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে ও সরকারি আদেশ অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় মানুষের চলাচলসহ অন্যান্য বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াঙ্কা পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উর্মি রায় দুটি টিমে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

একটি টিমের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা পাল। এসময় তিনি ৮টি মামলায় ৩ হাজার ৫০ টাকা আদায় করেন। অপর একটি টিমের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঊর্মি রায়। তিনি ১৭ টি মামলায় ২ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। মোট ২৫টি মামলায় ৫২০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ে গঠিত টিম রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল দেয়া হয়। একই সাথে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সরকারী বিধি-নিষেধের বিষয়ে প্রচারণা করা হয়।

উপজেলার মুন্সিবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন ঊর্মি রায়। আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে উৎসুক জনতা
উপজেলার মুন্সিবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন ঊর্মি রায়। আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে উৎসুক জনতা। ছবি :: এশিয়াবিডি

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঊর্মি রায় উপজেলার মুন্সিবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে উৎসুক জনতা। পরে অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তারা এসে এদেরকে তাড়িয়ে দেয়।

উৎসুক জনতার একজনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পুলিশ কিভাবে কি করে না করে একটু দূর থেকে দেখতে চেয়েছিলাম। শুনেছি সেনাবাহিনীও মাঠে নেমেছে।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উর্মি রায় বলেন, আমি ৫টি ইউনিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। দেখেছি মানুষজন খুব সচেতন। প্রায় সবাই মাস্ক ও স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলছে। তারপরেও আমরা তাদেরকে সচেতন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর মানুষজন এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলে আমরা আরোও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/এমকে

আরও সংবাদ