‘সর্বগুণে ভরপুর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আমার মুর্শিদ’

সর্বগুণে ভরপুর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আমার মুর্শিদসবদিকে পারদর্শী বলতে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে- একজন ব্যক্তি জীবনের সকল কাজে সমান অবদান রাখতে সক্ষম। এরকম মানুষ, যেমন- ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি, আধ্যাত্মিকতাসহ সবদিক দিয়ে সমান ভূমিকা রাখতে পারা ব্যক্তি ইতিহাসে বিরল। আমাদের বর্তমান যুব সমাজের কাছে মনে হতে পারে একজন ব্যক্তি কেবল একটি বিষয়ে পারদর্শী হবেন। তিনি কিভাবে সকল কাজ একাই আনজাম দিতে পারেন? হ্যাঁ, একজন ইনসানে কামিল তথা পরিপূর্ণ মানুষের মাঝে আল্লাহপাক বিশেষ যোগ্যতা দান করেন যা দ্বারা তিনি ইলম, আমল, খিদমত, সুহবত, সংগ্রাম, সাহস, সমাজনীতি, অর্থনীতি, মসজিদ, মাদরাসা সবদিক একাই সামাল দিতে পারেন। একজন সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে এই বৈশিষ্ট্য ধারণ করার চেষ্টা আমাদের সারাজীবন করে যাওয়া উচিত। আজ আমরা যাকে নিয়ে বলছি বা লিখছি তিনি শুধু একজন ইনসানে কামিল বা পরিপূর্ণ মানুষ বা একজন সত্যিকারের মুসলিমই ছিলেন না, বরং একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, একজন মুর্শিদে কামিল ছিলেন, একজন সফল সমাজসংস্কারক ছিলেন। আমরা সাধারণত বলি তিনি একজন ওলীআল্লাহ ছিলেন। এখানে প্রশ্নটা হচ্ছে তিনি কেমন ওলীআল্লাহ ছিলেন?

বর্তমানে বিভিন্ন দরবারে, খানেকায়, এলাকায় দ্বীন ও মিল্লাতের খিদমতে আছেন অনেক ওলী-আউলিয়া, যাদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় তিনি তরিকতের মেহনত করে একজন পীর, আবেদ, ওলী বা দরবেশ হয়ে গেছেন, কিন্তু তিনি ভালো একজন মুহাদ্দিস নন। আবার মুহাদ্দিস হলেও একজন ভালো মুফাসসির নন। আবার মুফাসসির হলেও ভালো একজন ক্বারী নন। আবার ক্বারী হলেও রাসূলের আদর্শে পূর্ণ আদর্শবান নন। আবার যদি লক্ষ্য করেন তাহলে হয়ত দেখবেন তিনি একজন ভালো আলেম কিন্তু রাজনীতি সচেতন নন। রাজনীতিবিদ হলেও আর্থিক সচ্ছলতা নেই বলে দ্বীনি কাজের ব্যয়ভার বহন করার মতো শক্তি নেই। কেউ বিশাল সম্পদের মালিক পীর আছেন, তবে দানশীল নন। কিন্তু একজন ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) এর বর্ণাঢ্য জীবনের ইতিহাস দেখলে বা পড়লেই বুঝা যায় তিনি ছিলেন সত্যিকারের আলেম, একজন সুযোগ্য মুহাদ্দিস, একজন দক্ষ মুফাসসির, একজন দানবীর, একজন মুজাদ্দিদ, একজন সমাজ সংস্কারক, একজন বাগ্মী, একজন মুর্শিদ, একজন সংগঠক, রাজনীতির গতি নির্ণায়ক, আবার একই সাথে একজন দয়ালু মানুষ যার কাজ এতিম, বিধবা, গরীব, শ্রমিক, অন্ধ, আতুরের তত্তাবধায়ক। ইহাই সর্বদিকে পারদর্শী একজন ওলীয়ে কামিল বা মহান দরবেশের প্রতিচ্ছবি। কিভাবে তিনি একজন সর্বদিকে পারদর্শী ওলীআল্লাহ ছিলেন তা খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোকপাত করছি।

১। একজন ওলীয়ে কামিল:
আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) একজন ওলীয়ে কামিল ছিলেন এটা দলমত নির্বিশেষে সবাই জানেন, চিনেন এবং সাক্ষ্য দেন। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, তার জানাযায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি দেখে জাতীয় ও বিশ্বমিডিয়া বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়েছিলো। প্রতিবছর তার ঈসালে সাওয়াব মাহফিলেও কয়েক লক্ষ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে তিনি কত উচুমানের ওলীআল্লাহ ছিলেন।

২। একজন যুগগ্রষ্টা মুহাদ্দিস:
তিনি একজন জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস বা হাদীস বিশারদ ছিলেন। যারা তাঁর কাছে হাদীসের দরস নিয়েছেন সবাই এক বাক্যে তা স্বীকার করেন। তিনি পাকিস্তান আমলে ও পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অনেক মাদ্রাসায় সহীহ বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীসের কিতাবের দরস দিয়েছেন। তার হাতেগড়া ছাত্ররাও ইলমে হাদীসের জগতে আলো ছড়িয়ে গেছেন, এখন এই খিদমতে শত শত আলেম তাদের পাণ্ডিত্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন।

৩। একজন বিজ্ঞ মুফাসসির:
তিনি ছিলেন একজন ভালো মুফাসসির তথা কুরআনুল কারীমের তাফসীরকারক ছিলেন। যারা উনার তাফসীর শুনেছেন তারাই মুগ্ধ হয়েছেন। সর্বোপরি উনার লেখা অসমাপ্ত তাফসীরগ্রন্থ আত-তানভীর আলাত তাফসীর পড়লেই যেকোন আলেমই স্বীকার করবেন যে, তিনি উচ্চ পর্যায়ের একজন তাফসীরবিদ ছিলেন।

৪। একজন বিশ্ব ক্বারী:
আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) যে বিশ্ব ক্বারী ছিলেন, সে সম্পর্কে আমি কিছু লিখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তার কর্মই তাকে আকাশের চাঁদের মতো চিরভাস্বর করে রেখেছে বিশ্বময়। মক্কা শরীফের উস্তাদের কাছ থেকে সনদ বা ইজাজত পাওয়ার পর থেকে মানুষকে পবিত্র আল কুরআনুল কারীম সহীহ শুদ্ধ করে যে পড়ানোর মিশন শুরু করেছিলেন আজ তা বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুদূর আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তার বিস্তার ঘটেছে। প্রতি রামাদ্বান মাসে হাজার হাজার ছাত্র উনার নিজ বাড়িতে আল কুরআনুল কারীমের সহীহ শুদ্ধ তেলাওয়াত শিখছেন। দক্ষ ক্বারী হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছেন। বর্তমানে সারা পৃথিবীর আনাচে-কানাচেতে হাজার হাজার কেন্দ্র স্থাপিত হয়ে খিদমত চালিয়ে যাচ্ছে যা এককথায় নজিরবিহীন।

৫। একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব:
সাধারণ মানুষের চরিত্র ভালো হয়, মন্দও হয়। ভালো-মন্দের মিশ্রণে একধরণের চরিত্র প্রকাশিত হয়। একজন ওলীআল্লাহর চরিত্র হতে হয় সাধারণ মানুষের জন্য অনুকরণযোগ্য। আদর্শবান হতে হলে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শকে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হয়। কেননা নবীজির চরিত্রই হলো সর্বোন্নত চরিত্র। তাই আদর্শের চাষাবাদ করতে হলে সেই আদর্শকে ধারণ করতে হবে যার মধ্যে কোনো কলঙ্ক নেই। আমাদের মুর্শিদ নববী আখলাকের আলোকে অনেক উচ্চস্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তার প্রতিটি কথা ও কাজ ছিল নবীজির আদর্শের নমুনা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি নববী মডেল রেখে গেছেন যা অনুসরণ করলে পরে এই সমাজ ও সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধির সুবাতাস বয়ে যেতে বাধ্য।

৬। একজন অনলবর্ষী বক্তা:
আজকাল বক্তার কোন অভাব না হলেও বক্তাদের হালহকীকত খুব একটা সন্তোষজনক নয়। আজকাল ইলম ও আমলের মিশেলে গড়ে উঠা প্রকৃত বক্তা পাওয়া আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। আমরা যারা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) এর বক্তব্য শোনেছি, তার অবয়ব দেখেছি, তার আমল-আখলাক সম্পর্কে জেনেছি তারাই কেবল বুঝতে পেরেছি তিনি এই দ্বীনি ময়দানে কতটা গভীর যোগ্যতা ও দক্ষতার সমুদ্র নিয়ে নেমেছিলেন। আমরা তার মাহফিলে বসলে মনেপ্রাণে চেয়েছি তার বক্তব্য যেন শেষ না হয়। তার বক্তব্যে যেমন ছিলো কুরআনুল কারীমের রেফারেন্স, তেমনি ছিলো হাদীসের সমাহার। ছিলো ইমামগণের কথা, চিন্তা, ইসতেমবাত, ফিকহী সমাধানসহ ইলমের সকল দিক ও বিভাগ। আবার যখন কোন ইখতেলাফী ফিকহী মাসআলা বলতেন তখন কিতাবের রেফারেন্স এমনভাবে দিতেন, মনে হতো যেন তিনি দেখে দেখে কিতাব পাঠ করছেন। আর এজন্যই উনার বক্তব্যে সবাই মুগ্ধ হতো।

৭। একজন তেজস্বী রাজনীতিবিদ:
ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) ছিলেন সত্যিকারের একজন মানবতাবাদী রাজনীতিবিদ, যার ছায়াও বর্তমান সময়ের নোংরা রাজনীতির ময়দানে পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ। তার জীবনের ইতিহাস পড়লে দেখবেন তিনি ব্রিটিশ আমল থেকেই স্বাধীনতা ও ইসলামের পক্ষে সময় ও পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আশির দশকে নিজস্ব সুচারু চিন্তা, মৌলিক চেতনা ও সুচিন্তিত কর্মপদ্ধতির আলোকে রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তার দল গঠনের চার দশক পেরিয়ে গেলেও এই দলের কোনো নেতা, কর্মী বা সমর্থকের বিপক্ষে সামাজিক বা রাজনৈতিক অপরাধ, মামলা-মোকদ্দমার ইতিহাস নেই। এ তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক আদর্শ ও চরিত্রের উপমা পাওয়া যায়। ফলে যখনই যে সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে তাকে সবাই সমীহ করে দেশ ও সরকার পরিচালনা করেছে।

৮। একজন দয়াশীল দানবীর:
শুধু মানুষ না বরং সৃষ্টজীবের প্রতিও তিনি ছিলেন একজন দয়াশীল। যার প্রমাণ আমরা এখন দেখতে পাই এতিমদের জন্য তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা বা তারই আদর্শের অনুকরণে আর্তমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত লতিফী হ্যান্ডসের কার্যক্রমে। একজন সত্যিকারের দানবীর যাকে বুঝায় আসলে উনাকে না দেখলে হয়তো জানতাম না। উনি নিরবে নিভৃতে দান করতে পছন্দ করতেন। আবার প্রয়োজনে সবার সামনেও দান করতেন। তবে এতে কোন অহংকারের লেশমাত্র পরিলক্ষিত হত না, যেটা বর্তমান সময়ে মহামারির মতো দেখা যায়।

৯। একজন বিদগ্ধ লেখক:
তিনি একজন বিদগ্ধ লেখক, সিরাতবিদ, তাফসিরকার, মুহাদ্দিস হিসেবে কিতাব রচনা করে তার প্রতিভার স্ফূরণ দেখিয়ে গেছেন। তার লেখা কিতাবগুলো পাঠ করলেও অনুধাবন করা যায় তিনি কতটা পারদর্শী কলমযোদ্ধা ছিলেন। ইলমে কিরাত ও ইলমে তাসাওউফের কিতাব রচনায় তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য।

১০। একজন ভাবুক ও দার্শনিক কবি:
তিনি ছিলেন উচ্চ পর্যায়ের একজন ভাবুক, নবীপ্রেমিক, দার্শনিক ও কবি। তার কবিতা, গজল, হামদ, না’ত মানসম্পন্ন। তার কালজয়ী রচনা নালায়ে কলন্দর উর্দু কাব্যের ইতিহাসে এক মূল্যবান সংযোজন। যেখানে হামদে বারী তাআলা সমহিমায় উজ্জ্বল, নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশক ও মুহাব্বতে ভরপুর, অন্যান্য মর্সিয়ায় তিনি ভাব ও ভাষায় পাণ্ডিত্যের মহিমা দেখিয়েছেন।

১১। একজন মর্দে মুজাহিদ:
তিনি ছিলেন একজন মর্দে মুজাহিদ। উনার জীবনে কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। বরং সময়ের প্রয়োজনে সামনে থেকে দিয়েছেন অনেক আন্দোলনের ডাক। তার সাহসের পরিচয় রয়েছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে, নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে, দ্বীনবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ঝাপিয়ে পড়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ভূমিকা রেখেছেন।

১২। একজন মুজাদ্দিদ:
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রতি একশত বছরে একজন মুজাদ্দিদের আগমন ঘটে যিনি দ্বীনের মধ্যে সৃষ্ট বিদআত দূর করেন। সামাজিক সংস্কার সাধন করেন। বিলুপ্তির পথে চলা সুন্নাহ ও নীতি আদর্শ জীবিত করেন। একজন মুজাদ্দিদ তার দ্বীপ্তিময় চেতনা, ইলম, আমল ও জঝবায়ে জিহাদ দিয়ে সমাজকে আমূল পরিবর্তন করে দেন। আর এই ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখবেন আল্লাহর ওলী ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) তার জীবনে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক কিছুর সংস্কার করেছেন। পবিত্র কুরআনুল কারীমের একটি হরফের উচ্চারণ বিকৃত করে ভুলভাবে পড়ার প্রচলন শুরু হলে ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রহ.) জিহাদি প্রেরণা নিয়ে দাওয়াতের ময়দানে সময় ও অর্থ ব্যয় করেন। ফলে এই বিদআত নির্মূল হয়ে আজ এ দেশে দ্বোয়াদ হরফ বিশুদ্ধরূপে পঠিত হচ্ছে। তাছাড়া নবীজির ইশক্ব ও মুহাব্বতের জোয়ার সৃষ্টি করে তিনি ওহাবী মতবাদের বিষবাষ্প থেকে জাতিকে রক্ষা করেছেন শুধু না, বিশ্বময় সুন্নীয়তের আলোর ফোয়ারা ছড়িয়ে দিয়ে তিনি মুমিন মুসলমানদের ঈমান সুরক্ষিত করে গেছেন। আজকের সিলেট, বাংলাদেশ, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নীয়তের খিদমতের সিংহভাগের মূলেই রয়েছে তার বৈপ্লবিক অবদান ও তাজদিদ।

এভাবেই তার জীবন ও সংগ্রামের আলোচনা বিশ্বময় হচ্ছে, হবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু কোনো আলোচনাই যেনো যথেষ্ট নয়। আরো প্রয়োজন, আরো প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে তিনি বারবার নতুনভাবে আমাদের সামনে আসেন। তার সম্পর্কে যতই আলোচন করবেন বা লেখবেন ততই আপনি মুগ্ধ হবেন। সত্যি বলতে একজন মানুষের জীবনের যে সমস্ত দিক রয়েছে বা হতে পারে তার প্রতিটি দিকেই তিনি ছিলেন অনন্য। তাই তার দীর্ঘ বর্ণাঢ্য জীবনকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে হলে বলতে পারেন তিনি ছিলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিস্তৃত ও সুপরিসরের অধিকারী। তার মতো সর্বগুণে ভরপুর অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী একজন মুর্শিদ পেয়ে আমরা গর্বিত। আল্লাহ তার মক্ববুল ওলীর সকল খিদমত ক্ববুল তরে তরক্কীর সাথে কিয়ামত পর্যন্ত জারি রাখুন। আমীন।

আরও সংবাদ