শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ। ইথিওপিয়া ও প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দু’দশকের যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখায় এ পুরস্কার পেলেন তিনি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি তাঁকে সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত করে।
এর আগে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সম্ভাব্য বিজয়ীর তালিকা করেছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বরাতে প্রথম সারিতে থাকা চারজনের মধ্যে তালিকায় প্রথম নামটি ছিল বহুল আলোচিত কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে সে।
শান্তিতে নোবেলের জন্য তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ। প্রতিবেশি দু’দেশ ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিরসনের কারিগর হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখেন এই রাষ্ট্রনায়ক।
এছাড়াও আলোচনায় ছিলেন ব্রাজিলের আদিবাসী নেতা ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী রাওনি মেতুকতির এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার পর সাহসী পদক্ষেপ আর মহানুভবতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
চলতি বছরে নোবেল পুরস্কার মোট ছয় ক্যাটাগরির মধ্যে চারটির বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ৩০১টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ২২৩ জন ব্যক্তি এবং বাকি ৭৮টি প্রতিষ্ঠান। তবে গত ৫০ বছর ধরে কখনোই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগে মনোনিতদের তালিকা প্রকাশ করে না নোবেল প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।