বড়লেখা গ্রেফতার আতংকে দুই গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা দাসেরবাজারে দুই গ্রামবাসীর সংঘষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৫০ জনের নাম উলেখ ও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আহত পুলিশ অফিসার এসআই সুব্রত কুমার দাস। মামলা তদন্ত করছেন এসআই শরীফ উদ্দিন। পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার কারণে গ্রেফতার আতংকে গত ৩ দিন ধরে দুই গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সালিশ বৈঠকের উত্তেজনার জেরে গত শনিবার দুপুরে দাসেরবাজারের লঘাটি ও সুড়িকান্দি গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ উভয় গ্রামের ৪০ ব্যক্তি আহত হন। ভাংচুর করা হয় শতাধিক দোকানপাট। পুলিশের একজন এসআই ও কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় এসআই সুব্রত কুমার দাস দৈনিক সোনালী খবরের বড়লেখা উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তফা উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করেছেন।
মামলার প্রধান আসামী সাংবাদিক মোস্তফা উদ্দিন জানান, দাসেরবাজারের সবজি শেডে সালিশ বৈঠকে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধাওয়া করে। দৌঁড়ে গিয়ে একটি দোকানে ঢুকে ভিতর থেকে সাটার বন্ধ করায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন জনের কাছে ফোন দিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করলো। বাজারের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হলেন। অথচ তাকে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার প্রধান আসামী করা হলো !
এদিকে লঘাটি ও সুড়িকান্দি গ্রামের ৩০০-৩৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হওয়ায় ঈদর আগের দিন থেকে গ্রাম দুটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী থাকায় গ্রেফতার আতংকে সব বয়সী পুরুষরা বাড়ি ঘরে থাকছেন না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ উদ্দিন জানান, এ মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হননি। তবে সংশ্লিষ্ট আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।