সুযোগ পেলেই শিশু ধর্ষণ-বলাৎকার, হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার আরেক শিশু
সিয়াম আহম্মেদ তুহিন নামে ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪। অথচ এই বয়সেই সুযোগ পেলে মেয়ে বা ছেলে শিশুদের ধর্ষণ-বলাৎকার করতো সে। গত বুধবার আশিক (৮)নামে আরেক শিশুকে তার সঙ্গে দৈহিক মিলনের প্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু আশিক তা প্রত্যাক্ষান করে। সেদিনই আশিককে কৌশলে নিজের বাড়ি নিয়ে যায় তুহিন। পরে বলাৎকারের চেষ্টা করে। কিন্তু আশিক তাকে বাধা দেওয়ায় বাঁশের লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করে তুহিন।
হত্যার পর বাবা-মা ও ভাইয়ের সাহায্যে আশিকের মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে নিজের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে সে। পরে নিজেই অজ্ঞান নাটক করে বাঁচার চেষ্টা করে। এদিকে আশিককে তার পরিবার খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে তুহিনের খাটের নিচ থেকে মেলে তার বস্তাবন্দি লাশ।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুরে। নিহত আশিকুর রহমান আশিক স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম মঞ্জু মণ্ডল। তাদের বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর পূর্ব যমুনাপাড়ায়।
ছেলে হত্যার ঘটনায় তুহিনসহ তার বাবা সুরুজ্জামান, মা হামিদা পারভিন ও ভাই সোহাগের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একট হত্যা মামলা দায়ের করেন মঞ্জু।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তুহিনকে আটক করে থানায় আনার পর প্রথমে সে নিজ জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানায়। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় একই জবানবন্দি দেয়।
ওসি হুমায়ুন আরও জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তুহিনের ঘরে খাটের নিচ থেকে আশিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সময় তুহিনের বাবা-মা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
তুহিনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি বলেন, ‘সে স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হলেও অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে ধর্ষণ-বলাৎকারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আশিককে হত্যা ও তার লাশ লুকিয়ে রাখতে তুহিনের বাবা-মা ও ভাই সাহাজ্য করে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান। এর আগে তুহিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।’