কবিতাঃ ‘করোনা’র থাবা’

করোনা’র থাবা

সাঈদ বিন আমান

বাজারেতে মিশু মিয়ার ছোট ব্যবসা ছিলো,
দিতে হয় দোকান ভাড়া,সাথে কারেন্ট বিলও।
দোকানেতে প্রতিদিন, যেতেন সময় মতো,
সংসার চলতো তাতে রোজগার যা হতো।

করোনা ভাইরাসে দোকান বন্ধ হলো পুরো,
সেই থেকে তার পরিবারে অভাবেরই শুরু।
হাঁস-মোরগ গোটা দশেক, পালতেন স্ত্রী ঘরে,
ক্রমে ক্রমে সেগুলোও দিলেন বিক্রি করে।

ফুরিয়ে গেলো নগদ টাকা,সঙ্গে হাড়ির চাল,
খেতে হলে আনতে হবে সদাইপাতিও ডাল।
পরিচিত দোকানেতে চাইলেন খরচ বাকি,
এসময়ে এমন কারবার টোটাল নিষেধ নাকি!
ত্রাণের প্যাকেট প্রায়ই আসে, প্রতিবেশির ঘরে,
এসব দেখে মিশু মিয়ার ছেলে জিজ্ঞেস করে।
কত কিছু পায় যে লোকে শুণ্য মোদের বেলা!
ছেলেকে বলেন এসব বাবা রাজনীতির খেলা।

অনাহারে কয়েক দিনে চিন্তা করেন আজ,
এবার তিনি করতে যাবেন দিনমজুরের কাজ।
বহুজনকে বলার পরও কাজে নেয়না কেউ,
কবে যাবে এই দুর্দিন তার মনে চিন্তার ঢেউ।

নির্বাচনের সময় দেখলেন জনসেবকের ঢল,
দুঃসময়ে কেউ থাকেনা সবাই করে ছল।
নামাজ শেষে প্রভুর নিকট বলেন তুলে হাত,
আমার পাপের কারনে ওগো কেড়ে নিলে ভাত?

অনুতপ্ত হলেন ভীষণ ভুলে খোদার বিধানকে,
ক্ষমা করো দয়াময় তুলে নাও ঘোর নিদানকে।
মহামারী দূরে করে দাও, বিশ্ব হয়ে যাক ঠিক,
ইনসাফের সমাজ গড়ে, পাবে সঠিক দিক।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান
আরও সংবাদ