ভয়াবহ রোগ Gangrene: কেন এটি বাড়ছে এবং কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
Gangrene রোগ এখন প্রায় মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে যা আগের থেকে দিনকে দিন বাড়ছে । আসুন জেনে নেই ভয়াবহ রোগ Gangrene সম্পর্কে।
Gangreneহল শরীরের কোনো অংশের কোষ বা টিস্যু মারা যাওয়া, যা সাধারণত রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে। এটি এক ধরনের গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি করে এবং সাধারণত দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। Gangrene কারণে আক্রান্ত অংশে টিস্যুর মৃত্যু হতে থাকে এবং যদি না চিকিৎসা করা হয়, তবে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
Gangrene হওয়ার কারণ:
1.রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়া যেকোনো আঘাত বা অন্য কারনে
2.ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থেকে।
3.ডায়াবেটিস- এই রোগটির বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীরা হয়ে থাকেন রক্ত সঞ্চালন বা স্নায়ুর ক্ষতি এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় দুর্বলতার কারণে গ্যাংগ্রিনের ঝুঁকিতে বেশি থাকে।
4.দুর্ঘটনা বা গুরুতর আঘাত কারনেই অনেকেরই Gangrene
হয়।
Gangrene এর লক্ষণ :
1.বেশির ভাগ রোগী পোড়া বা চুলকানি নিয়ে আক্রান্ত স্থানে শ্বাস নিতে সমস্যা এবং ত্বকে গা dark বা কালো রং দেখা দেয়।
২.অস্বাভাবিক গন্ধ,আক্রান্ত স্থান থেকে একটি বাজে গন্ধ আসে।
৩.জ্বর এবং শিরশিরানির অনুভূতি হয়।
৪.আক্রান্ত অংশের ত্বক সাদা, সবুজ বা কালো হয়ে যায়।
৫.রোগীর আক্রান্ত অংশে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
৬.আক্রান্ত যায়গায় অনুভূতি হারাতে পারেন।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
1.বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করতে হবে। যাতে ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
2.বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীর অস্ত্রোপচার করে মৃত টিস্যু বা কোষ অপসারণ করা হয়। যদি গ্যাংগ্রিনের প্রভাব ব্যাপক হয়, তবে আক্রান্ত অঙ্গ বা অংশ কেটে ফেলতে হতে পারে।
3.গ্যাংগ্রিনের চিকিৎসায় হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপি সহায়ক হতে পারে। এটি রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
4.ব্লাড সঞ্চালন উন্নতি খুবই জরুরি, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করার জন্য, যেসব রোগী রক্তচাপ বা রক্তনালীর সমস্যা থাকে, তাদের জন্য চিকিৎসা করতে হবে। এক্ষেত্রে রক্তনালীর অস্ত্রোপচার বা ওষুধ প্রয়োগ করে করা হয়।
5.পুনঃপ্রতিস্থাপন, যদি প্রাথমিক অবস্থা ধরা পড়ে তাহলে কোনো অংশের টিস্যু গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তবে তা পুনঃপ্রতিস্থাপন করা যায়
পরামর্শ
1.যাদের ডায়াবেটিস আছে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া পায়ের যত্ন(বিশেষ করে পায়ের তলা বা আঙুল) এবং সঠিক ডায়েট অনুসরণ করা Gangrene
প্রতিরোধে করা সম্ভব।
২।রক্ত সঞ্চালন উন্নত রাখা, হালকা ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
3.ধূমপান, মদ্যপান কমানো এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করা।
৩.শরীরের ক্ষত বা আঘাতের দ্রুত চিকিৎসা।
শেষ কথা
gangrene একটি জীবননাসক বিপদজনক রোগ, তাই এর শুরুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত MBBS vascular surgeon চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
—-
শাহ ছাব্বির আলী
এমপিএইচও, কমিউনিটি প্যারামেডিক
জেনারেল- এলএলবি (প্রথম পর্ব)