মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন বকশ বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: ফয়জুল করিম ময়ুন। থানায় জিডি, কোর্টে মামলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
প্রতিবাদ বার্তায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি নেতা মতিন বকশ এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাতারকাপন গ্রামের আব্দুল মতিন, আব্দুস শহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সংবাদ সম্মেলনকারী আব্দুল মতিন ও তার ভাইদের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত তাদেরই অপর ভাই মকিছের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মকিছ গত কয়েক বছর পূর্বে তাদের মা হাজেরা খাতুন’কে চিকিৎসার কথা বলে মায়ের নামে থাকা ৭৮ শতক ভূমি আত্মসাৎ করে। এ জায়গায় মকিছের অন্যান্য ভাই বোনদের অংশও ছিল। এই জায়গায় তাদের সবার বসত বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, এ বিষয় নিয়ে গত আওয়ামীলীগের আমলে একাধিক গ্রাম্য শালিস বসে। মকিছ ক্ষমতার দাপটে শালিসের সিদ্ধন্ত মানেননি। সে আওয়ামীলীগের এমপি জিল্লুর রহমান এবং নেছার আহমদ ঘনিষ্ট কর্মী ছিল। তাতীলীগের কমিটিতে ছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সে লাটি নিয়ে ছাত্রদের প্রতিহত করে।
সম্প্রতি এ বিষয়টি সমাধান করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, এলাকার মুরব্বি ও পুলিশ সদস্যদের সুপারিশে শালিস বসে। শালিসে বিএনপি নেতা মতিন বকশ, মাতারকাপন পঞ্চায়েতের মুরব্বি খলিল মিয়া, শ্যামেরকোনার আনোয়ার আলী, সাদিকুর রহমান সাদিক সহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। শালিসের এক পর্যায়ে মকিছ সিন্ধান্ত মেনে না নিলে শালিস অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায়।
পরবর্তীতে মকিছ বিএনপি নেতা মতিন বকস এর হয়রানির ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না বলে কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন এবং থানায় জিডি করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মকিছের ভাই আব্দুল মতিন, আব্দুস শহিদ সহ তার আত্মীয়রা বলেন, আমরা হতবাক হয়েছি এই মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী শুনে। আমরা দেখেছি মকিছ প্রতিদিন তার বাড়িতে থাকছে। কোন দিনই বাড়ি ছাড়া কিংবা ঘর ছাড়া ছিল না। বাড়িতে থেকে আমার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতো। আমরা মিথ্যা মামলা ও জিডির প্রতিবাদ জানাই। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন বকশ বলেন, পরিবার ও ব্যবসায় সময় না দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য শালিস করে আসছি। এরকম কোনো অভিযোগ উঠেনি। রাজনীতিকভাবে আমাকে গায়েল করার জন্য একটি পক্ষ আওয়ামীলীগের নেতাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলেছে। মকিছ মিয়াকে হয়রানির প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। মূলত আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এটা করা হয়েছে।

আরও সংবাদ