রাজনগরে ফাঁড়ি আছে, পুলিশ নেই

রাজনগরে ফাঁড়ি আছে, পুলিশ নেই
ফটো: এশিয়াবিডি২৪

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজারে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও পুলিশ নেই। ৫ আগষ্টের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফাঁড়ি থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়ার কারনে দিন দিন চরম অবনতি হয়েছে, সামাজিক আইন-শৃঙ্খলা।

বেড়েছে চুরি,চিন্তাই ও মাদকের চোরাচালান। ৫ আগষ্টের পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দৃশ্যমান কোন কর্মসূচী বা আন্দোলন রাজনগরে দেখা যায়নি । ৫ আগষ্টে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘঠনা না ঘঠলেও মুন্সিবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে ব্যাংক লুটপাটকে কেন্দ্র করে মুন্সিবাজার পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। পুলিশের জন্য দেওয়া হয় ইউনিয়ন অফিস সংলগ্ন দু’টি রুম। রাজনগর থানা থেকে দেওয়া একজন এসআই ও চার জন কনস্টেবল ফাঁড়ির দায়িত্ব পালন করে আসছেন শুরু থেকে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ফাঁড়ি থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৫ আগষ্টের পূর্বে বা পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন হামলা ও আক্রমণ মুন্সিবাজার পুলিশ ফাঁড়ি বা রাজনগর থানায় হয়নি। এরপরেও ফাঁড়ি থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার কারনে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, মাদক চোরা-চালানসহ নানান অপকর্ম শুরু হয়েছে। রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার বানিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে অনেক আগ থেকে। মুন্সিবাজারে  কয়েকটি ইউনিয়ন ও উপজেলার বেশীর ভাগ মানুষের নিত্যকার বাজারে রুপ নিয়েছে মুন্সিবাজার। প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসে। বাজার বারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ বাজারে জমায়েত হন। জনবহুল এই বাজারে ছোট বড় দুর্ঘটনা, চুরি ছিনতাই ও মারামারি প্রায়শই লেগে থাকে।

স্থানিয়রা এশিয়াবিডি২৪ কে জানান, মুন্সিবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ না থাকায় সামাজিক আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে । তারা অতিসত্বর মুন্সিবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী কার্যক্রম চালু করার জন্য জোর দাবি জানান ।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুর্শেদুল হাসান বলেন, মুন্সিবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আগে পুলিশ ছিলো, এখন নেই। ফাঁড়িতে পুলিশ দেওয়া হলে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফাঁড়িতে পুলিশ দেওয়ার কথা বলেছি।

এশিয়াবিডি২৪/মোজাহিদ /শায়েখ

আরও সংবাদ