কোনো বাধা মানবো না : ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা এই দেশটাকে দখল করে রেখেছে। অন্যদের কোনো কথা বলার অধিকার নাই, বাকস্বাধীনতা নাই, ভোটের অধিকার নাই। আমরা বলে দিতে চাই, এটা আর মানবো না। কোনো বাধা আমরা মানবো না।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পশ্চিম হাজারীবাগের ঝাউচর বাজার থেকে নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর আগে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘কারও জমিদারি মানবো না’- ক্ষমতাসীনদের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইশরাক হোসেন বলেন, আজকে এখানে আসার আগে আমি শুনতে পেয়েছিলাম, এখানে নাকি বাধা প্রদান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্র আমরা মানবো না। কোনো বাধা আমরা মানবো না। ঢাকা শহরে কোনো সন্ত্রাসীদেরকে আমরা জায়গা দেব না। এই দেশটা আমাদের সবার।
তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে এ মেয়রপ্রার্থী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আমাদের উত্তরের মেয়রপ্রার্থীর (তাবিথ আউয়াল) প্রচারণায় ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল, কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার হতে দেখলাম না।
পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করে প্রকৌশলী ইশরাক বলেন, আপনাদের প্রতি যে গুরুদায়িত্ব আছে তা আপনারা পালন করুন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা পালন করুন। আমি আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করব, আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন।
ঢাকা শহরটাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে- এমন দাবি করে ডিএসসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, আজকে এ এই ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল- জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক, জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক, এই অধিকারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার একটা সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে।
এর আগে সকাল ১১টা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঝাউচর বাজারে জড়ো হন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন ও ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন।
গণসংযোগের সময় উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশারসহ বিএনপির বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ