কী খবর বন্ধু…
‘‘হঠাৎ রাস্তায় আপিস অঞ্চলে
হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে-
বন্ধু, কী খবর বল,
কত দিন দেখা হয়নি…’’
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে এসে এই গানের সুরে বাঁধা পড়েন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও তার বন্ধুরা।
বিকেএসপির ২০০০ সালের ব্যাচের পুনর্মিলনীতে মুশফিক, শান্ত ও নীরবদের সেখানে আগমন ঘটে। প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে ছিল সাবেক শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। পুরনো বন্ধুদের পেয়ে সবাই মেতে ওঠেন স্মৃতিচারণ আর আড্ডায়।
সকাল থেকে সাজ সাজ রব ছিল বিকেএসপিতে। হলরুমে ঢুকে বন্ধুদের সঙ্গে করমর্দন করেন এই ব্যাচের ছাত্র মুশফিকুর রহিম। বলছিলেন, প্রায় ২০ বছর পর সবার সঙ্গে একত্র হয়েছেন। সবার সঙ্গে দেখা হযে ভালো লাগছে। সবাই এখন যার যার জায়গায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরমধ্যেও একত্র হতে পারাটা বড় প্রাপ্তি।
মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘‘এই ব্যাচ থেকে যারা বের হয়েছি। তাদের অনেকে এখন ভালো জায়গায় খেলছেন। এরজন্য সবচেয়ে অবদান শিক্ষক ও স্টাফদের। যে কয়েক বছর এখানে ছিলাম, বন্ধুদের অবদানও কম নয়। তাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে, একসঙ্গে সময় কাটাতে পেরে ভালো লাগছে।’’
পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকার ফাঁকে ফাঁকে চলছিল স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
খেলোয়াড়রা বলছিলেন, তারা এমন একটা দিনের অপেক্ষায় ছিলেন। বিকেএসপিতে মাঝে মাঝে খেলতে আসেন। কিন্তু সবার সঙ্গে একত্রে দেখা হয় না। খেলতে আসলে বুকের মধ্যে হাহাকার করে। কত কথা মনে পড়ে। এই অনুষ্ঠানে এসে কিছুটা সময় ‘পুরনো দিনে’ ফিরে যেতে পেরে যে ভালো লাগা, তা বলে বোঝানো যাবে না।
বিকেএসপিতে শুরু হওয়া আনন্দের সকালটা ধীরে ধীরে দুপুর হয়। স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ের মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে। এরপর একে একে বেরিয়ে যেতে থাকেন সবাই।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ