আগুন কেড়ে নিল বৃদ্ধার আশ্রয় স্থল, ভবঘুরে চলছে জীবন


স্বামী পরিত্যক্ত ৬৫ বছর বয়সী সুফিয়া বেগমের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে শেষ আশ্রয় স্থল পুড়ে ছাই হয়েছে। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরের সবকিছু পুড়ে এখন নিঃস্ব সুফিয়া। বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষা করে চলছে তার জীবন।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম খলাগ্রামে গত ১৫ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যার পর এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গত ১০ দিন যাবত বিভিন্ন জনের বাড়িতে রাত্রী যাপন করছেন সুফিয়া। সুফিয়া বার্ধক্য জনিত নানা রোগের কারণে কাজ করতে না পারায় জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে মানুষের কাছে হাত পেতেছেন এবং ১৫ বছর বয়সী এক ছেলে ট্রাকের হেল্পারের কাজ করে।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় পুড়ে যাওয়া সুফিয়া বেগমের ঘর
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় পুড়ে যাওয়া সুফিয়া বেগমের ঘর

জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে একই উপজেলার মেদিনি মহল এলাকার হামদু মিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুফিয়ার। এর আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন সুফিয়ার স্বামী হামদু। গত ৩ বছর ধরে হামদু মিয়া সুফিয়াকে ছেড়ে চলে যান। এর পর থেকে কোনো খবর রাখেন না সুফিয়া’র। বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দোকান ও বাজারে পানি বহনের কাজ করে কোনো রকম চলতো সুফিয়ার সংসার। কিন্তু অগ্নিকান্ডের পর সুফিয়া এখন নিঃস্ব। স্থানীয়রা জানান সুফিয়ার কোনো জায়গা সম্পত্তি না থাকায় আব্দুল বাছিতের বাড়িতে ভাড়া ছাড়াই থাকতেন সুফিয়া। এটা পুড়ে যাওয়ায় এখন আর তার মাথা ঠেকাবার জায়গা নেই।

সুফিয়া বেগম প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যুতের আগুনে ছাই হয়ে গেছে সবকিছু। পড়নের কাপড় ব্যতীত আর কিছু নেই।

স্থানীয় আরিফুল ইসলাম ইমন বলেন, বাড়ি আগুনে পুড়ার পর এই মহিলা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা করছেন।

এবিষয়ে মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সালেক মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সহায়তায় মহিলার জন্য একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করতেছি। পরবর্তীতে জায়গা পাওয়া গেলে একটি বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান
আরও সংবাদ