ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিচয় মিলেছে


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬ জনের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি ছয় জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী ক্যাম্প থাকা ১০ জনের মরদেহের মধ্যে স্বজনদের কাছে চারটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ১০ জন হলেন- হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন (১২), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাবাজগাঁও মুজিবুল রহমান (৫৫), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫)। মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুসসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩)।

আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আসামাত্রই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই ট্রেনেরই কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ চলছে।

ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝ বরাবর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে রয়েছে। সেখানে কেউ আটকে পড়ে আছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

আরও সংবাদ