রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিংটাই ভুলে গিয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এখন ফিল্ডিংয়ে নেমে বোলিংটা ভুলে গেছে। ফিল্ডিং ভুলে টপাটপ ক্যাচ ছাড়ছে। এক আবু জায়েদের ৪ উইকেট ছাড়া কারও সাফল্য নেই। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলছেন। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। আউট হয়েছেন আড়াইশর কাছাকাছি গিয়ে। ভারতের স্কোর এখন ৫ উইকেটে ৪৩২ রান। লিড হয়েছে ২৮২ রানের। বাংলাদেশের কপালে যে দূর্গতি আছে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে।
ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের মুখে হাসি ফোটান পেসার আবু জায়েদ রাহী। তার দ্বিতীয় শিকার হন চেতেশ্বর পূজারা। ৭২ বলে ৫৪ রান করা পূজারা জায়েদের বলে সাইফ হাসানের তালুবন্দি হন। ভাঙে ৯১ রানের জুটি। এরপরেই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় উইকেটটি উপহার দেন এই তরুণ পেসারর। ক্যারিয়ারে প্রথমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ডাক’ মারেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ না দেওয়ায় রিভিউ নিয়ে ভয়ংকর এই ব্যাটসম্যানকে ফেরায় বাংলাদেশ।
৯১ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। গতকাল শেষ সেশনে ৩২ রানে জীবন পেয়েছিলেন ভারতের এই উঠতি তারকা। আজ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ৮২ রানে আরেকবার জীবন পান তিনি। মেহেদী মিরাজের বলে তাকে এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। লাঞ্চের পরেই তিনি ১৮৩ বলে ১৫ চার ১ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ৮ ম্যাচ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। দ্রুতই তিনি বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ১৫০ একাই পেরিয়ে যান।
১৭২ বলে ৮৬ রান করে আজিঙ্কা রাহানে যখন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে, তখনই আঘাত হানেন আবু জায়েদ। রাহানেকে তাইজুলের তালুবন্দি করে নিজের চতুর্থ শিকার ধরেন তিনি। এরইসঙ্গে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৯০ রানের জুটি। ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা মায়াঙ্কের সঙ্গী হন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনে আগের মতোই এগিয়ে নিতে থাকেন ভারতকে। শেষ সেশনে ৩০৩ বলে ২৫ চার ৫ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। গত ২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাখাপত্তনমে তিনি ২১৫ রানের ইনিংস খেলেন। আজ তাকে ২৪২ রানে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। মায়াঙ্কের ক্যাচ নেন আবু জায়েদ। ভাঙে ১২৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিনে ১ উইকেটে ৮৬ রান তুলেছিল ভারত। দলীয় ১৪ রানে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা শিকার হন আবু জায়েদ রাহীর। ৬ রান করা রোহিত রাহীর বলে ক্যাচ দেন লিটন দাসের গ্লাভসে। এর আগে বাংলাদেশকে দেড়শ রানে প্যাকেট করে দেয় ভারত। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন।