ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব
কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে নবান্ন উৎসবের আমেজ। বাংলা সালের অগ্রহায়ণ মাসের ১ম দিন নবান্ন উৎসব। তাই দিনটি পালন করার জন্য কৃষকদের ঘরে ঘরে আনন্দের যেন কোন কমতি নেই। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই পরিবারের মানুষ নিয়ে এই নবান্ন উৎসব করে। যুগযুগ ধরে চলে আসা আনন্দের এ দিনটি পালনে এবারও কোন ব্যতিক্রম হবে না।
ইতিমধ্যে এলাকার কৃষকরা গত কয়েক দিন আগেই আগাম জাতের নতুন ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। পাড়া মহল্লায় গরু, খাসি জবাই করে ভাগাভাগি করে নিয়ে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠাপুলি পায়েশ-পোলাও এবং নতুন চালের আটা, গুড় ও কলা দিয়ে সিরনি থৈরি করে আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম পরে যায় গ্রামে গ্রামে।
নবান্ন ছাড়া এই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক কৃষক নতুন চালের ভাত খান না। এর মধ্যে যেসব কৃষকের ধান পাকতে দেরি হয় তারা পরে নবান্ন করেন।
আবার অনেকে স্থানীয় মসজিদে পোলাও পায়েশ দেয়ার পর নতুন চালের ভাত খান। উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামে তরিকুল ইসলাম জানান, তার বাড়ীতে ২দিন আগের থেকে আত্মীয় স্বাজন আসতে শুরু করেছে। একই উপজেলার ভাতগাঁও, ডাবোর, ডহচি ও বিভিন্ন গ্রামে নবান্ন উৎসব চলে ৩-৪ দিন ধরে।
নবান্ন উপলক্ষে শনিবার কাহারোল হাটে বিভিন্ন জিনিস পত্র ক্রয় করতে দেখা গেছে। হাসিনুর রহমান জানান, নবান্ন উপলক্ষে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু করেছি এবং আজ নতুন ধানের চাল দিয়ে নবান্ন করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে নতুন চালের ভাত খাওয়া হবে।