দিল্লি সংঘর্ষে পুড়েছে স্কুল, ছাই হয়েছে প্রশ্নপত্রসহ বই-খাতা


নাগরিকতত্ব সংশোধনি আইন নিয়ে ভারতের দিল্লিতে চলমান সহিংসতার আগুনে পুড়েছে স্কুল। ছাই হয়েছে অসংখ্য বই, খাতা, প্রশ্নপত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক নথিপত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর পূর্ব দিল্লির ব্রিজপুরির অরুণ উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এনডিটিভির সংবাদের বলা হয়, পরীক্ষা থাকায় দুপুরেই বাড়ি চলে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা স্কুলে ছিলেন একা একজন নিরাপত্তারক্ষী। এসময় দুর্বিত্তরা স্কুলটিতে আগুন লাগিয়ে দিলে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় নিরাপত্তারক্ষী। তবে আগুনে পুড়ে যায় মূল্যবান জিনিসপত্র, বই খাতা নথিপত্র, ঝলসে যায় কম্পিউটারের সিপিইউ, মনিটর।.

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত ৮টার দিকে স্কুলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। তার আগে অন্তত চারঘন্টা স্কুলে ঢুকতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

স্কুলটির ক্যাশিয়ার নীতু চৌধুরী এনডিটিভিকে বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক এসেছিল স্কুলটিতে আগুন দিতে। কী করতে হবে ঠিক করে উঠতে পারেনি নিরাপত্তারক্ষী। সে বাধ্য হয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা পুলিশকে ফোন করেছি এবং দমকলবাহিনীকেও জানিয়েছি। সব জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি থাকায় কেউই স্কুল পর্যন্ত আসতেই পারেনি। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাদ পড়েনি স্কুলের ক্যান্টিন এবং ক্লাসরুমগুলিও। এ ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে স্কুল বাসও।

১৮ বছর ধরে এই স্কুলেই কাজ করছেন নীতা চৌধুরি । তিনি বলেন, আজ এ প্রতিষ্ঠানের কিছুই বাকি নেই।

উল্লেখ, রবিবার থেকেই উত্তর পূর্ব দিল্লির আকাশ বাতাসে সংঘর্ষের কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে ছিল। রাজধানী দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যাও ২০০ ছাড়িয়েছে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পাথর ছোঁড়া, সব মিলিয়ে দেশের রাজধানী যেন পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। অপ্রত্যাশিত সহিংসতার কারণে বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে সিবিএসই বোর্ড।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কামরান

আরও সংবাদ