কবিতাঃ শিল্পী

শিল্পী

রাহাত জামিল

শিল্পী তুমি বড়ো অদ্ভুত!
সদা ব্যাস্ত থাকো সৃজনে….
তোমার ভাবনার নেশা আর
সৃজনের লোভে তুমি সর্বদা
এড়িয়ে চলো লোকসমাজের পার্থিব লালসা।

শিল্পী তুমি বড়ো অদ্ভুত!
কিন্তু তুমি তো নও পাশের বাড়ির
মেধাবী পাতাখোরটির মতন,
যে সারাদিন বইয়ের পাতায় মুখ গুজে
নিশ্চিত স্বর্নালী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলে।

তুমি তো নও প্রথম বেঞ্চের
শিক্ষকের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছাত্রটির মতন,
যে প্রত্যেহ পড়া করে শিক্ষকের বাহবা কুড়ায়।

শিল্পী তুমি তো নও পিতামাতার
সবচেয়ে বাধ্য সন্তানটির মতন,
যে সুখে দুখে প্রয়োজনে পিতামাতার
একমাত্র অবলম্বন হয়ে সহায় হয়।

শিল্পী তুমি তো নও সমাজের কুকাজে
প্রতিবাদ লাইনের প্রথম সারির ছেলেটির মতন,
যে লৌকিক প্রতিবাদে সমাজের অসৎকাজে বাধা দেয়।

শিল্পী তুমি তো নও পাড়ার
সবথেকে চৌকশ ছেলেটির মত,
তুমি সৃষ্টির নেশায় থাক বুদ,ভবঘুরে,বৈরাগী।

শিল্পী তুমি বড্ড বখাটে!
সমাজের সুখে, সমাজের দুখে,
তোমার থাকেনা কোন ভাবনা।

শিল্পী তুমি বড়ো অবাধ্য!
সংসারে তোমার থাকে না মন,
পরিবারের নিষেধ সত্ত্বেও তুমি
সৃষ্টির নেশায় থাক নিঃসঙ্গ।

শিল্পী তুমি বড়ো অমিশুকে!
আত্মীয় পরিজনে তোমার থাকে না দায় দায়িত্ব,
তুমি এড়িয়ে চলো এসব।

কিন্ত শিল্পী তুমি বড়ো অবাক করো!
উদাসীন, ভবঘুরে, বৈরাগী,
অমিশুকে, অবাধ্য, বখাটে তকমা পেয়েও
তুমি থাক ভীষন শান্ত, নির্লিপ্ত।

তোমার ভাবনার জগতে
বিশাল বাড়ি বানিয়ে নতুন তুমি সৃষ্টিতে মত্ত,
হাজারো বাধায় নিঃশেষ হয়েও তুমি হওনা শেষ।
পুনারায় তোমার শৈল্পিক ভাবনার কারুকার্যে,
তুমি সৃষ্টি করো অনবদ্য সৃজন।
প্রদ্বীপের অন্তিম শিখার মত নিভে গিয়েও
দ্বীপ্ত সূর্যের মত আবার জ্বলে ওঠো নতুন স্বত্তা নিয়ে।
শিল্পী তুমি বড়োই অদ্ভুত!

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/কেকে
আরও সংবাদ