পোল্ট্রিতে ‘এন্টিবায়োটিক’, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

পোল্ট্রিতে 'এন্টিবায়োটিক', স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ
বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটেছে বিশ্বজুড়ে। দৈনন্দিন মাংসের চাহিদার বিরাট অংশ মেটাচ্ছে এই শিল্প। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেট ভারি করার স্বার্থে সাধরান মানুষের জীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি টেনে আনছেন। তারা মুরগি মোটাতাজা করতে ও ওজন বাড়াতে যেসব এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন সেটা ভবিষ্যতে মারাত্মক পরিনিতি বয়ে আনবে।

বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন, প্রতি বছর আমাদের প্রতি দশ জনের একজন অসুস্থতার কারণ খাদ্যজনিত সাধরানত কোলি এবং স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থেকে এসব অসুস্থতা সৃষ্টি হয়। পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশুদের জন্য এসব ব্যাকটেরিয়া প্রাণঘাতী। আর এই ব্যাকটেরিয়ার বেশিরভাগ জন্ম নেয় পোল্ট্রিশিল্পে পালিত মুরগি থেকে। জর্জিয়ার প্রাণীবিজ্ঞানী ম্যারিন ম্যাককেনা একথা জানিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনে ‘বিগ চিকেন’ নামের নামে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন।

তিনি বলেছেন, এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার নিয়ে বিশ্বজুড়ে এত সমালোচনার মধ্যেও একটি শ্রেনি তাতে কর্ণপাত করছে না। বিশেষ করে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িতরা। সাধারণের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে এন্টিবায়োটিক বোধ হয় কেবল অসুস্থ মানুষের উপর প্রয়াগ করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সহ গোটা বিশ্বে এন্টিবায়োটিকের বড় অংশ ব্যবহার হয় মাংসশিল্পে। কেবল যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে সাত কোটি পাউন্ড এন্টিবায়োটিক মাংস উৎপাদনকারী পশু-পাখীদের শরিরে প্রয়োগ করা হয়,যা মানুষের ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তবে রোগ সরানোর জন্য পশু পাখীদের শরিরে এগুলো প্রয়োগ করা হয় তা নয়,এটা করা হয় দ্রুত বৃদ্ধি ও ওজন বাড়ানোর জন্য। বৃদ্ধি যত দ্রুত হবে তত তাড়াতাড়ি এগুলোর মাংস বিক্রি করা যাবে। আর ওজন যত বাড়বে তত আর্থিক লাভ হবে।

আরও সংবাদ