জেলিফিশের গবেষনায় ১৫৪ দেশের ৬শ বিজ্ঞানী দক্ষিণ আফ্রিকায়
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক জেলি ফিশ সিম্পোজিয়াম শুরু হয়েছে। এই সিম্পোজিয়ামে ইউরোপ, আমেরিকা,কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর ১৫৪টি দেশের প্রায় ৬শ সামুদ্রিক জীব বিজ্ঞানী অংশগ্রহন করতে এবং সমুদ্রের ওপরে জেলি ফিশের প্রভাব দেখার জন্য কেপটাউনের ইজিকো যাদুঘরে এসে জড়ো হয়েছেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) থেকে আফ্রিকা মহাদেশের জন্য প্রথম ৩ দিনের এই সম্মেলনটি কেপটাউনের ইজিকো যাদুঘরে শুরু হয়েছে। জেলিফিশের বংশবৃদ্ধি তাদের আয়ুষ্কাল এবং সমুদ্রে তাদের ক্ষতিকর প্রভাব, জেলি ফিসের পুষ্পগুলি নিয়ে বাস্তুতন্ত্রের ওপর তাদের প্রভাব এবং মানুষের প্রভাব সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ফোকাস নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা চলছে এই সিম্পোজিয়ামে।
কানাডা থেকে আসা মেরিন বায়োলজিস্ট, প্রফেসর মার্ক গিবনস বলেছেন, জেলিফিশ ব্লুমস সিম্পোজিয়াম সমুদ্রের জেলিফিশের গুরুত্ব সম্পর্কে জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করে।
মাত্র ৪.৫ মিলিমিটারের সামুদ্রিক এই প্রাণীটিকে সাধারণভাবে দেখলে এর অনন্যতা বোঝা যায়না। ভূমধ্যসাগর নিবাসী টারিটোপসিস দহরনিল বা অমর জেলিফিশ নামক প্রাণীটি দেখতে পুরোপুরি স্বচ্ছ। জেলিফিসের অন্যান্য অনেক প্রজাতি থাকলেও এটিই একমাত্র যে অমর প্রমানিত হয়েছে।
এটি কিভাবে সম্ভব? আসলে এদের আছে নিজদেহ ঘড়িকে উল্টোদিকে চালনা করার ক্ষমতা। আমাদের দেহকোষের বয়স যেমন বাড়তে বাড়তে বুড়ো হয়ে যায় তেমনি তাদেরও হয় কিন্তু প্রয়োজনে এরা নিজেদের একদম শিশু অবস্থায় নিয়ে যায়। তারপর আবার বড় হওয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে ট্রান্সডিফারেন্সিয়েশন।