শীতকালে বেশি বিয়ে হয় কেন?
বিয়ের মৌসুম বলা হয় শীতকালকে। শীত আসলেই বিয়ের ধুম পড়ে যায়। খেয়াল করে দেখবেন, বেশিরভাগ বিয়েই হয়ে থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুর সময়টায়। কখনো কি মাথায় প্রশ্ন এসেছে, শীত এলেই কেন চারপাশে শুরু হয় এত বিয়ের আয়োজন?
মূলত, কিছু ব্যাপার মাথায় রেখে শীতকাল বিয়ের জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়। এ সময় বিয়ে হলে বাড়তি কিছু সুবিধা পান আয়োজকরা।
ছুটি মেলে সহজেই
বিয়ে মানেই দুই পরিবারের সবাই এক হওয়া। কিন্তু সন্তানের স্কুল কলেজ থাকায় মা বাবারা ছুটি মিলাতে পারেন না। তাই আত্মীয়ের বিয়েতেও অংশ নিতে পারেন না। সাধারণত ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে স্কুল বন্ধ থাকে। এই সুযোগে বড়রাও সহজে বেড়াতে পারেন। আর তাই, আত্মীয় স্বজনদের কথা ভেবে বিয়ের জন্য শীতকাল বেছে নেন বেশিরভাগ মানুষ।
খাওয়া দাওয়ায় সুবিধা
গরমের সময় খেতে হয় ভেবে চিন্তে। বেশি তৈলাক্ত আর মশলাদার খাবার খেলেই দেখা দেয় হজমে সমস্যা। এ দিকে, বিয়ে মানেই বিশেষ খাওয়া দাওয়া। পোলাও, বিরিয়ানি, কাচ্চি, রোস্ট, জর্দা সব খাবার কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য শীতকালই উপযুক্ত সময়।
পরিশ্রমে সুবিধা
বিয়ের আয়োজন মানেই বাড়তি কাজ। গরমে অল্প পরিশ্রমেই মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে। ক্লান্ত হয়ে যায় অল্পতেই। শীতকালে এমনটা হওয়ার ভয় থাকে না। বরং ছুটোছুটি আর কাজের মধ্যে থাকলে শীত অনুভূত হয় কম। তাই সবাই মিলে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে কাজ করার জন্য শীতকালই বিয়ের জন্য সেরা সময়।
নানা ফুলের মেলা
বিয়ে মানেই ফুল। হলুদের কন্যার সাজ থেকে শুরু করে স্টেজ সাজানো, বাসর ঘর সবখানেই লাগে রঙিন ফুল। আর শীতকাল মানেই বাহারি ফুলের উপস্থিতি। এসব ফুলের উপস্থিতি উৎসবকে করে দেয় আরও জমকালো আর অভিজাত।
সাজে সুবিধা
বিয়ে হবে আর বউ সাজবে না তা কি হয়? কিন্তু গরমের সময় মেকআপ করে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। যত দামি প্রসাধনীই ব্যবহার করা হোক না কেন, অতিরিক্ত গরমে তা নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি যারা বিয়ে বাড়িতে অতিথি হয়ে যান, তারাও একটু জমকালো সাজে সাজতে চান। সবমিলিয়ে শীতই বিয়ের জন্য ভালো সময়।
হানিমুন
ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত সময় শীত। আর বিয়ের পর সদ্য বিবাহিত দম্পতি কিছুটা সময় কাটাতে হানিমুনে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই বিয়ে ও হানিমুনের জন্য শীতই উপযুক্ত সময়।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ