ইজতেমার নিরাপত্তায় থাকবে র‌্যাবের হেলিকপ্টার-ড্রোন

বিশ্ব ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণের কথা জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘ইজতেমায় ২৭টি দেশের বিদেশি নাগরিকসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হবে। আমরা ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারির কাজ শুরু করেছি। দুই ধাপে ইজতেমার ময়দানে তিন দিন করে আমাদের ডেপ্লয়মেন্ট থাকবে। গাড়ি-বাইক পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদীতে স্পিডবোটের মাধ্যমে বোট পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, আকাশপথে দুইটি হেলিকপ্টারের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোশাকধারী র‌্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও সতর্ক থাকবেন র‌্যাব সদস্যরা।

মাঠে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সুইপিং টিম ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, যে কোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বক্ষণিক তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কোথাও ঝুঁকি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে, ইজতেমার দুই পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রেখে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে আমরা সতর্ক রয়েছি।

এর আগে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের সুবিধার্থে মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত দুটি বাস সার্ভিস থাকবে। ইজতেমা মাঠে দুজন চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে। এছাড়া মাঠে ২০টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হবে।

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ

আরও সংবাদ