মাশরাফির উত্তরসূরি তামিম
দেশের ইতিহাসে তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসেরও অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুক্রবার (৬ মার্চ) সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন অধিনায়ক হিসেবে নিজের শেষ ম্যাচ। এরপরই নেতৃত্বের জন্য নতুন মুখ খুঁজতে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে পাওয়া গেল মাশরাফির উত্তরসূরি।
বাংলাদেশ দলের নতুন ওডিআই অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান তামিম এখন ওডিআইতে নেতৃত্ব দেবেন টাইগারদের। রবিবার (৮ মার্চ) বোর্ড সভা শেষে এই ঘোষণা দেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মাশরাফি। এরপর শুক্রবারের ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় সফল এই অধিনায়ককে।
এর দুদিন পরই নির্ধারিত বোর্ড সভায় এলো নতুন অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের হয়ে অবশ্য আগেও অধিনায়কত্ব করেছেন তামিম। তবে সেসব ছিল ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে সাত হাজারের বেশি রান ও সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি করা তামিম এবারই পেলেন পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব।
বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানান, অল্প মেয়াদের নয়, তামিমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য। পারফরম্যান্সের ঘাটতি না হলে ২০২৩ সালের পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তামিমকেই দেখা যেতে পারে এই দায়িত্বে, ‘ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত করা হয়েছে । লম্বা সময়ের জন্য তাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। নিশ্চয়তা বলতে কিছু নেই। তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা ছিল শর্ট টার্ম করবো। আগামী বছর চেয়েছিলাম যে একজনকে পূর্ণাঙ্গ করতে। কিন্তু আজকের বোর্ড সভা শেষে আমরা চিন্তা করলাম তামিমকে দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়ক করা। শর্ট টার্ম করার চিন্তা ভাবনা নেই। আমরা চাই তামিম দীর্ঘ সময়ের জন্য করুক। সামনে কি হবে সেটা তো বলা যায় না।’
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ বিশ্বকাপের পর পরই শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি চোটের কারণে ছিটকে গেলে ওই সিরিজে প্রথমবার ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেন তামিম। তিন ম্যাচেই অবশ্য লড়াইবিহীনভাবে হারে বাংলাদেশ।টেস্টেও অধিনায়কত্ব করার নজির আছে তামিমের। ২০১৬-১৭ তে নিউজিল্যান্ড সফরে তখনকার নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের চোটে এক টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
২০১৪ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নাটাই ছিল মাশরাফির হাতে। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ৮৮ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০টি ওয়ানডে জিতিয়ে ইতি টানেন ম্যাশ।
এশিয়াবিডি/ডেস্ক/সাইফ