ফটো সাংবাদিক কাজল জামিন পেলেন না

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন মেলেনি।

বুধবার (২৪ জুন) ঢাকা মেেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারক ধীমান চন্দ্র মন্ডল জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এদিন শফিকুল ইসলাম কাজলের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জামিন আবেদন করে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুন) মামলাটিতে শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ৯ মার্চ মাগুরা-১ আসনের এমপি এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৬/২৯/৩১ ধারায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, মানবজমিন পত্রিকার রিপোর্টার আল-আমিন, ফেসবুক আইডি শফিকুল ইসলাম কাজল, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালে আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২ মার্চ মানবজমিন পত্রিকায় মতিউর রহমানের নির্দেশে রিপোর্টার আল-আমিন ‘পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। সেখানে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার একজন করে সংসদ সদস্য পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়। এছাড়া অপর আসামিরা তাদের ফেসবুক আইডিতে পাপিয়ার খদ্দের ও সংশ্লিষ্টতায় মন্ত্রী, এমপি, আমলা এবং ব্যবসায়ীসহ অনেকে জড়িত মর্মে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তালিকা প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে বাদীর নাম আছে। ওই সব মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ ও মন্তব্য বাদী জাতীয় সংসদে বসে গত ৪ মার্চ সন্ধ্যায় প্রত্যক্ষ করেন। তা প্রকাশের মাধ্যমে আসমিরা বাদী এবং সংসদ সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজেশ ওই সংবাদ প্রকাশ করে বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করেছেন। তাই বাদী মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন (৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন

এশিয়াবিডি/ডেস্ক/এসএইচ

আরও সংবাদ