কানাইঘাটের দিঘীরপার গ্রামে সুরমা ডাইক হইতে বাঁশ ঝাড় উচ্ছেদের দাবী এলাকাবাসীর
কানাইঘাট উপজেলার ৩নং দিঘীরপার পূর্ব ইউপির দিঘীরপার গ্রামের মধ্যে দিয়ে ভয়ে যাওয়া সুরমা ডাইকে দিঘীরপার গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী তাহার বাড়ির পার্শ্বে সরকারি জায়গার উপর দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বাঁশ-গাছ ইত্যাদি লাগিয়ে ভোগ দখল করে আসিতেছেন। বর্তমানে বাঁশ ঝাড় এর অগ্রভাগ রাস্তার উপরে পড়ার কারণে গ্রামের লোকজন উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করিতে পারিতেছেনা বলে জানা গেছে। উক্ত রাস্তার উপরে বাঁশ ঝাড় হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজনের যাতায়াতকালে মারাত্মক দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রী সহ এলাকার জনসাধারণ উক্ত ডাইকের উপর দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলার ৩নং দিঘীরপার পূর্ব ইউপির দিঘীরপার মৌজাস্থিত (জে,এল,নং- ২১১, দাগ নং- ১৯২০, খতিয়ান নং- ০১) এরিয়া ০.৮৭ একর ভূমি সরকারি রাস্তা হিসাবে রেকর্ড বিদ্যমান। সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি রাস্তাটি কাঁচা থাকায় বর্ষা মৌসূমে মানুষজন চলাচলের কারণে ও গরু-মহিষ হেঁটে রাস্তাটি বর্তমানে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে দিঘীরপার গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী রাস্তার পার্শ্ব গেছে বাঁশ-গাছ লাগানোর কারণে বাঁশগুলো হেলে রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, সরকারী রাস্তার জায়গায় আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী বাঁশ-গাছ লাগানোর কারণে জনচলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টির পাশাপাশি বর্ষা মৌসূমে রাস্তার উপর বড় বড় গর্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়। তাই সরকারী রাস্তার জায়গা হইতে বাঁশ-গাছ উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে দিঘীরপার গ্রামের বাসিন্দা মঈন উদ্দিন চৌধুরী গত ১৬ আগষ্ট কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিস দর্পনগরের ভূমি উপ সহকারি কর্মকর্তা মো: শাহাব উদ্দিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) কানাইঘাট বরাবরে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মো: আব্দুল হালিম গত ২ নভেম্বর সোমবার দুপুরে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উক্ত সরকারি জায়গা মাপ-ঝোক করে চিহ্নিত করেছেন।
এবিষয়ে আলাপকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মো: আব্দুল হালিম বলেন, আমি মাপ-ঝোক দিয়ে দেখেছি উক্ত রাস্তার উপরের বাঁশ ঝাড় ও গাছ গুলো সরকারি জায়গায় রয়েছে। তিনি বলেন, বাঁশ ঝাড় উচ্ছেদ করে জনসাধারণের চলাচলের সুযোগ করে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তিনি লিখিত প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন।
এসময় সরকারি জায়গার উপর বাঁশ-গাছ লাগানো অবস্থায় হেলে পড়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টির হওয়ার বিষয়ে উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে দিঘীরপার গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব জাহান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তার চাচা আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী উক্ত সরকারি জায়গায় রাস্তার উপর বাঁশ-গাছ লাগিয়ে জনচলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্ঠি করেছেন। যার কারণে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তারা সরকারি জায়গা হইতে বাঁশ-ঝাড় উচ্ছেদ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী বলেন, সরকারী জায়গায় হেলে পড়া বাঁশ-গাছ গুলো তার বাড়ির পার্শ্বে লাগানো ছিলো। এতে কিছু বাঁশ রাস্তার উপর হেলে পড়েছে। তিনি বলেন, উক্ত বাঁশ-গাছ গুলো তিনি কেটে নিবেন।