লন্ডনে সিলেটের ছোট্ট তাফিদাকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন

লন্ডন অফিস:
মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘গভীর ঘুমে’ আচ্ছন্ন পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু তাফিদা রাকিব। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘কোমা’। তার বাঁচা-মরার প্রশ্ন নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতে হয়ে গেছে আইনি লড়াই। চিকিৎসকেরা ছোট্ট মেয়েটির জীবনাবসান ঘটাবেন, নাকি তাকে আরও চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেওয়ার কথা আদালতের।

তাফিদা বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান। তার বাবা মোহাম্মদ রাকিব (৪৫) এবং মা সেলিনা রাকিব (৩৯)। তাঁদের বাড়ি সিলেটের শিবগঞ্জে। যুক্তরাজ্যে এই পরিবারের বসবাস পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম এলাকায়।

তাফিদার মা সেলিনা রাকিব বলেন, তিনি মনে করেন, আদালত ছোট্ট তাফিদার জীবন বাঁচানোর পক্ষেই রায় দেবেন। তাফিদার জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে তিনি সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। তিনি জানান, কেবল আইনি লড়াইয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা)। আর তাফিদাকে ইতালি নিয়ে চিকিৎসা দিতে প্রয়োজন আরও প্রায় ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

সেলিনা রাকিব বলেন, পরিবারের পক্ষে এই পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই এরই মধ্যে তাঁরা সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে তাফিদার চিকিৎসার তহবিল জোগানের আবেদন জানিয়ে অনলাইনে একটি আপিল চালু করেছেন। এ পর্যন্ত এই আপিলের মাধ্যমে প্রায় ৩১ হাজার পাউন্ড সংগৃহীত হয়েছে।

এই অনলাইন আপিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকেও যে–কেউ সাহায্য করতে পারবেন। যাঁরা আর্থিকভাবে সাহায্য করতে সমর্থ নন, তাঁরাও তাফিদার ফেসবুক পেজটি লাইক ও শেয়ার করে তাফিদার জীবন রক্ষার লড়াইয়ের খবরটি ছড়িয়ে দিয়ে ভূমিকা রাখতে পারেন। এতে আরও বেশি সমর্থ ও হৃদয়বান লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে।

মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘গভীর ঘুমে’ আচ্ছন্ন পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু তাফিদা রাকিব। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘কোমা’। তার বাঁচা-মরার প্রশ্ন নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতে হয়ে গেছে আইনি লড়াই। চিকিৎসকেরা ছোট্ট মেয়েটির জীবনাবসান ঘটাবেন, নাকি তাকে আরও চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেওয়ার কথা আদালতের।

তাফিদা বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান। তার বাবা মোহাম্মদ রাকিব (৪৫) এবং মা সেলিনা রাকিব (৩৯)। তাঁদের বাড়ি সিলেটের শিবগঞ্জে। যুক্তরাজ্যে এই পরিবারের বসবাস পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম এলাকায়।

প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে তাফিদার মা সেলিনা রাকিব বলেন, তিনি মনে করেন, আদালত ছোট্ট তাফিদার জীবন বাঁচানোর পক্ষেই রায় দেবেন। তাফিদার জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে তিনি সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। তিনি জানান, কেবল আইনি লড়াইয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা)। আর তাফিদাকে ইতালি নিয়ে চিকিৎসা দিতে প্রয়োজন আরও প্রায় ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা)।

সেলিনা রাকিব বলেন, পরিবারের পক্ষে এই পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা সম্ভব নয়। তাই এরই মধ্যে তাঁরা সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে তাফিদার চিকিৎসার তহবিল জোগানের আবেদন জানিয়ে অনলাইনে একটি আপিল চালু করেছেন। এ পর্যন্ত এই আপিলের মাধ্যমে প্রায় ৩১ হাজার পাউন্ড সংগৃহীত হয়েছে।

এই অনলাইন আপিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকেও যে–কেউ সাহায্য করতে পারবেন। যাঁরা আর্থিকভাবে সাহায্য করতে সমর্থ নন, তাঁরাও তাফিদার ফেসবুক পেজটি লাইক ও শেয়ার করে তাফিদার জীবন রক্ষার লড়াইয়ের খবরটি ছড়িয়ে দিয়ে ভূমিকা রাখতে পারেন। এতে আরও বেশি সমর্থ ও হৃদয়বান লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। আপিল পেজটির ঠিকানা এটি।

‘সেভ তাফিদা’ নামের ফেসবুক পেজে তাফিদার চিকিৎসা ও আইনি লড়াই সম্পর্কে সময়-সময় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানান মা সেলিনা রাকিব। তাঁর প্রত্যাশা, তাফিদার জীবন রক্ষার লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে ভালো সাড়া মিলবে।

সেলিনা বলেন, ‘আমি চিকিৎসা বন্ধ করে মেয়ের জীবন অবসানের অনুমতি দিতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি, আমার মেয়ে জেগে উঠবে। সে সুস্থ হবে। দুনিয়াতে অলৌকিক অনেক কিছুই ঘটে। আমি সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখতে চাই।’

আরও সংবাদ