এখনো বেসামাল ওসমানীনগরের পেঁয়াজ বাজার

ওসমানীনগরে ইচ্ছে মত দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। রবিবার উপজেলার একাধিক বাজার ঘুরে সর্বনিম্ন ৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজের দর সহনীয় পর্যায়ে চলে এলেও সঠিক বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ওসমানীনগরের হাট-বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দর এখনো বেসামাল। এতে সাধারণ লোকজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। দরিদ্র পরিবারের রান্নার উপকরণ থেকে বাদ পড়েছে পেঁয়াজ। উপজেলার বড় বড় বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দর কিছুটা কমলেও ছোট ছোট বাজারে এখনো পেঁয়াজের মূল্য লাগামহীন।

রবিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ময়না বাজারে ৯০-১০০, জামতলা বাজারে ৯০-৯৫, কলারাই, খাদিমপুর, বুরুঙ্গা, কালনীরচর ও শেরপুর নতুন বাজার এলাকায় ৮০-৮৫ টাকা, উমরপুর, দয়ামীর, তাজপুর ও কুরুয়া বাজারে ৭০-৭৫ এবং উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারে ৬৫-৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ মফস্বলের বাজারগুলোতে প্রশাসনিক মনিটরিং ব্যবস্থা বা নজর না থাকায় এমন অবস্থা চলছে। উপজেলা প্রশাসন পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির খবরে মাত্র একটি বাজারে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও মফস্বলের বাজারগুলোতে অভিযানের প্রয়োজন বোধ করেননি। এতে সিলেটের অন্যান্য স্থানে পেঁয়াজের মূল্য হ্রাস পেলেও ওসমানীনগরের হাট-বাজারগুলোতে এর কোন প্রভাবই পড়েনি।

সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবর পেয়ে একরাতের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৭০-৭৫ টাকা দর বাড়িয়ে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। দর বৃদ্ধির আগে অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ গোদামজাত করেও রাখেন। এর দু’দিন পর ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোয়ালাবাজারে কিছুক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের দর কমানোর নির্দেশ দিলেও এতে প্রকৃতপক্ষে কোন সুফল পায়নি ক্রেতা সাধারণ।

উপজেলার নিজ ব্রাহ্মনগ্রামের নজির হোসেন বলেন, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ থাকলেও ব্যবসায়ীরা দর কমাচ্ছে না। প্রশাসনের সঠিক মনিটরিং না থাকায় এখনো উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের অনেকে পেঁয়াজ খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।

ময়নাবাজার এলাকার ফয়ছল মিয়া বলেন, আমরা ওসমানীনগরের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা। সব সময়ই আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়তি মূল্যে কিনতে হয়। মফস্বলের ছোট বাজারগুলোতে কখনো মনিটরিং হয় না। ইদানিং পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, কম দরে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে আবারো অভিযান পরিচালনা করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও সংবাদ