মিশা-জায়েদের অভিযোগে যা বললেন মৌসুমী
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ২৫ অক্টোবর। চলছে নির্বাচনী প্রচারণা, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ। এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী মৌসুমীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল।
মৌসুমী এফডিসিতে বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচনী মিছিল করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিশা-জায়েদ প্যানেল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এফডিসিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনও করেন।
এদিকে মিশা-জায়েদের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বললেন ঢাকাই সিনেমার প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী।
মৌসুমী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল করেছি এটা মিথ্যা কথা। মিছিলের ভিডিও ফুটেজ আছে। যেসব শিল্পী আমাকে পছন্দ করেন তারাই আমার মিছিলে অংশ নিয়েছেন। আমি কোনো বাইরের লোক নিয়ে মিছিল করিনি। নির্বাচন ঘিরে ওরা যখন যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছে, এটা ঠিক নয়। দিন শেষে আমাদের সবার পরিচয় একটাই, আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী।’
মৌসুমী আরও বলেন, ‘এফিডিসিতে শুধু শিল্পীরাই আসেন না। সব সময় দেখা যায় অনেক বাইরের লোকও আসে যায়। তারা কীভাবে এখানে ঢোকে এটা আমারও প্রশ্ন। তারা ভেতরে ঢোকে, বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে ছবি তোলে। এমন কেউ যদি মিছিলের পাশে ঘোরে তার দায়ভার তো আমার নয়।’
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিএফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানিরাজের কাছে শিল্পী সমিতিতে অপমানিত হয়েছেন মৌসুমী। এই নায়িকার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। একপর্যায়ে মৌসুমীকে তিনি ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ড্যানিরাজ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।