ভোলার ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনায় দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ রবিবার (২০ অক্টোবর) গণভবনে যুবলীগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ভোলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি মহল উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তখনই দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তি জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন। যারা অপরাধী তাদের কোনও ক্ষমা নেই। আমরা কোনও অন্যায়-অবিচার বরদাশত করবো না। দেশকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে যে অভিযান শুরু হয়েছে, তা চালিয়ে যাওয়া হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘ভোলায় আইডি হ্যাক করা হয়েছে, তিনি জিডি করেছেন। আর যিনি আইডি হ্যাক করেছিলেন, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার কথা হলো, আইডি হ্যাক করে যিনি নোংরা কথা লিখেছেন, তিনি তো মুসলমান। সত্যি যদি তার ধর্মে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা থাকতো, তাহলে রাসুল (সা.) সম্পর্কে তিনি এসব কথা লিখতে পারতেন না। তার পেছনে কারা আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। নবীর বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলে তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নিয়মিত সম্মেলন করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত সম্মেলন করলে দলে গতি আসে। যুবলীগের পর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে।’
যুবলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’র পর তাকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপরে বই বের করা হচ্ছে। ১৯৪৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে যত রিপোর্ট আছে, সেগুলোও সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্টগুলোয় প্রায় ৪০ হাজার পাতা ছিল। সব পড়ে মূল কথা দিয়ে মোট ১৪টি খণ্ড ছাপানো হবে। এখন পর্যন্ত ৪টি খণ্ড ছাপানো হয়েছে।’ এসব রিপোর্ট থেকে সবাই সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।”